বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান মো. ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন, বিশ্বের তৃতীয় সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা’র বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত ছিল মিয়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে স্থান দেয়া। সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক সিদ্ধান্তের কারনেই বাংলাদেশ দ্রুত গতিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি যিনি কষ্ট পেয়েছেন তিনি হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।যারণে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যুবলীগকে শেখ হাসিনার উন্নয়নকে জনগণের কাছে তুলে ধরে নৌকার পক্ষে জনমত সৃষ্টি করতে হবে। সকল কোন্দল মুছে ফেলে দিতে হবে।
তিনি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে তারুণ্য নির্ভর ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ৩১ বছর বয়সে যুবলীগকে প্রতিষ্ঠা করেছেন শেখ ফজলুল হক মনি। যুবলীগ কোন অঙ্গসংগঠন নয়, যুবলীগ আওয়ামীলীগের সহযোগি সংগঠন। যুবলীগ সুশৃঙ্খল সংগঠন, যুবলীগের কাজ হচ্ছে দলের সবার মাঝে সেতুবন্ধন সৃষ্টি করা। তাই যুবলীগের নেতাকর্মীদের অবশ্যই দায়িত্বশীল হতে হবে। আগামী ২১ মার্চ পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে সফল করতে যুবলীগের সকলস্থরের নেতাকর্মীদের সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান তিনি। বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের উদ্যোগে পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অতি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন দাবী করে ফারুক চৌধুরী আরো বলেন, এ নির্বাচন বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষার নির্বাচন। এখন সময় এসেছে আগামী নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের প্রত্যাখান করার। জনগণ আগামী নির্বাচনেও মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতেই দেশকে তুলে দিতে চায়। জিয়াউর রহমানের আমলে নির্বাচনে ১০ টি হোন্ডা ও ১০ জন গুণ্ডা নির্বাচন ঠান্ডা, এরশাদের আমলের নির্বাচন মিডিয়া ক্যুা, খালেদা জিয়ার আমলের নির্বাচন সোয়া কোটি ঝাল ভোট প্রদান এটাই ছিল তাদের কৃতিত্ব। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলের নির্বাচন হলো, আমার ভোট আমি দিব, যাকে খুশি তাকে দিব। এদেশে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামীলীগ সরকার।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ফারুক চৌধুরী বলেন, তারা মাঠে নেয়। প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি। মূলত সেটি প্রেস ব্রিফিং সংবাদ সম্মেলন নয়। বাংলাদেশে একমাত্র সংবাদ সম্মেলন করেন শেখ হাসিনা। খালেদা জিয়া ও হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ কোন দিন সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের উত্তর দেন না। কিন্তু একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের সকলর প্রশ্নের উত্তর দেন। মিয়ানমারের নেত্রী সূচী, বাংলাদেশের ড. ইউনুচ ও আমেরিকার বারাক ওবামা নোবেল পেয়েছিলেন। কিন্তু তাদের কাছে কোন মানবতা দেখলাম না। নির্যাতিদের স্থান দিয়ে মানবতা দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি আমম টিপু সুলতাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দীন আহমদ, এমপি সামশুল হক চৌধুরী, এমপি নজরুল ইসলাম চৌধুরী, এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, এমপি ড. আবু রেজা মো. নেজামুদ্দীন নদভী, সাবেক মহিলা এমপি চেতন আরা তৈয়ব, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, ফারুক আহমদ, আবদুস ছাত্তার, সৈয়দ মাহমুদুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন গাজী, বদিউল আলম, দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুর রহমান। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সেক্রেটারী পার্থ সারথি চৌধূরীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন পটিয়া পৌর মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের আহবায়ক মহিউদ্দীন বাচ্চু, উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি এসএম আল মামুন, কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সভাপতি খোরশেদ আলম, রাঙ্গামাটি জেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আকবর খাগড়াছড়ি জেলা যুবলীগ সভাপতি যতন কুমার ত্রিপুরা,বান্দরবান জেলা যুবলীগ সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, কক্সবাজার সেক্রেটারী মাহবুবুর রহমান, রাঙ্গামাটি সেক্রেটারী নুর মোহাম্মদ, খাগড়াছড়ি সেক্রেটারী মো. ইসমাঈল, উত্তর জেলা যুবলীগের সেক্রেটারী এসএম রাশেদুল আলম, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকা, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগে সভাপতি এসএম বোরহান, সেক্রেটারী আবু তাহের প্রমুখ।