নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় আহত শাহরিন আহমেদ বাংলাদেশে ফিরেছেন। আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা সোয়া তিনটার দিকে হজরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় শাহরিন আহমেদকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি।  বিমানবন্দর থেকে তাকে সরাসরি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হবে। সেখানে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া হবে শাহরিনকে।

শাহরিন আহমেদ নেপালের কাঠমুন্ডু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতাল থেকে তাকে বিদায় দেয়ার সময় তাকে চিকিৎসারত চিকিৎসক এবং নার্সরা আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। তাদের অনেকেই তার জন্য প্রার্থনা করছিলেন, যেনো তিনি দ্রুত আরোগ্য লাভ করেন। নেপালের ঐতিহ্য অনুযায়ী, শাহরিনকে উত্তরীয় পরিয়ে দেয়া হয় সঙ্গে দেয়া হয় ফুল। শেষ মুহূর্তে তাকে বিমান বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। নেপাল ছাড়ার আনুষ্ঠানিকতাগুলো সারতে বিশেষ করে ইমিগ্রেশনের কাজগুলো যাতে লাইনে দাঁড়িয়ে না করতে হয় এবং দীর্ঘ সময় না লাগে সেজন্য দূতাবাসের কর্মকর্তারা আগেই তার কাজগুলো সেরে রেখেছিলেন।

শাহরিন আহমেদ এছাড়া আরও তিনজন অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাদের পরিবারের সদস্যরাও জানিয়েছেন যে, তারাও দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের জন্যও দূতাবাসের পক্ষ থেকে দাপ্তরিক কাজগুলো এরইমধ্যে করে দেয়া হয়েছে। আহত আরও বেশ কয়েকজন ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং তাদের সবার শারীরিক অবস্থার অনেকটা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন নেপালে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস। এদের মধ্যে দু’য়েকজনের অবস্থা কিছুটা গুরুতর। তাই তাদের দেশে ফিরতে একটু দেরি হবে। এছাড়া বাকি সবাই আগামী দুই একদিনের মধ্যেই দেশে ফিরতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রদূত।