দুরন্তপনায় মেতে থাকা ছেলেটি আজ বড় অসহায় ও নিরব ভূমিকায় বসে আছে আগামীর কঠিন সময়ের এই অশান্ত পৃথিবীতে। বেঁচে থাকার সাধ জাগেনা কার? বাঁচতে চায় সবাই, বাঁচার স্বপ্ন দেখে সবাই এর বাহিরে রাজীবও নয়।
কিন্তু সুন্দর ও মায়াবী এই ১১-১২ বছরের রাজিবের জীবনে আক্রমন করে বসেছে মরণঘাতী ব্লাড ক্যন্সার।

পাটগ্রামের দক্ষিণ কোটতলী কেন্দ্রীয় কবরস্থান পাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা আলিমুদ্দিন রিক্সা চালিয়ে তার চার ছেলেমেয়ে সহ ছয় সদস্যের অসহায় ও অভাবী সংসারের অভাব মেটানোর চেষ্টায় দিন-রাত শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন।

হতাশা ঘিরে বসেছে রাজীবের জননীর চোখে মুখে। রাজীবের বড় ভাই রব্বী অনার্সে ভর্তি হয়েও পড়ালেখা চালানোর চেষ্টা করলেও তার ছোটভাইয়ের এই কঠিন ব্যধির জীবনে সহযোগীতার জন্য পাশে আছে সবসময়। ওর স্বপ্নটাও অনেকটা দুঃস্বপ্নের দিকে। তবুও ভাইয়ের জন্য ভাই।

রাজিবের পরিবার কষ্টের অভাবী সংসার থেকে যতটুকু পারা যায় তার সবটুকু করে যাচ্ছেন তার সুস্থতার জন্য। কিন্তু যে অসুখ রাজিবের জীবনে চেপে বসেছে তা যদি এখনি উন্নত চিকিৎসার মুখ না দেখে তাহলে হয়ত রাজীব আর এই পৃথিবীতে বেশিদিন টিকে থাকতে পারবে না। কারন এই ব্লাড ক্যন্সারের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজীবের পরিবার অর্থনৈতিকভাবে অক্ষম। রাজীবদের থাকার জন্য শুধু তাদের বাড়ির জমিটুকুই অবশিষ্ট।

সন্তানের চিকিৎসা এই বিপুল অর্থ জোগান দেয়া সম্ভব হচ্ছে না বিধায় রাজিবের বাবা আলিমুদ্দিন ইসলাম সমাজের হৃদয়বান বিত্তশালী মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।

কোন সহৃদয় ব্যক্তি রাজিবের চিকিৎসার জন্য সাহায্য দিতে চাইলে সরাসরি রাজীবের পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারেন এই নাম্বারে: – ০১৭১৭-৬১১০৩৮