লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের বর্হিবিভাগে ৫ টাকার চিকিৎসা টিকিট ৫০ টাকায় বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা সেলিমের বিরুদ্ধে। তিনি রোগীর অসহায়ত্বের সুযোগ খোঁজেন। হাতিয়ে নেন অতিরিক্ত টাকা, করেন হয়রানি ও অসদাচরণ। দীর্ঘদিন থেকে তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও হয়রানির অভিযোগ থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।সরেজমিন সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, সেবাপেতে বর্হিবিভাগে দীর্ঘ লাইন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোগীরা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন।
অপরদিকে, কাউন্টারের পেছনের জানালা দিয়ে বাড়তি টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে চিকিৎসা টিকিট। যেসব শিশুরা বাবার সঙ্গে চিকিৎসা সেবা নিতে এসেছে তাদের দেওয়া হচ্ছে না কোনো টিকিট। বলা হচ্ছে, সেবা পেতে মায়ের সঙ্গে আসতে হবে। মূলত নানান অজুহাতে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ধান্দা। টিকিটের জন্য ১০ বা ২০ টাকার নোট দিলেও বাকি টাকা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে সেলিমের বিরুদ্ধে।

দুপুর ১টা বাজতে না বাজতেই টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দিলেন কাউন্টারের সেলিম। উপায় না পেয়ে লাইনে থাকা অনেক রোগী ও তাদের স্বজনরা হাসপাতাল ছেড়েছেন। গৃহবধূ মুক্তা বেগম, তানিয়া সুলতানা, আমেনা বেগমসহ কয়েকজন কাউন্টারের সামনে জটলা বেঁধে আছেন টিকিটের আশায়। তাদের সবার কোলে অসুস্থ শিশু। বারবার অনুরোধের পর সেলিম ৫০ টাকা করে টিকিটের দাম দাবি করেন। উপায় না পেয়ে তিন নারী ৫০ টাকা করে টিকিট কিনেন। ভবানীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মুক্তা বেগমের কাছে বাস ভাড়া ছাড়া বাড়তি টাকা নেই। যে কারণে চড়া দামে টিকিট কিনতে পারেননি। প্রতিদিন এভাবেই চলে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের বর্হিবিভাগ।

কথা হয় মুক্তা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘তার শিশু কন্যা দুইদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত। বর্হিবিভাগ থেকে ৫ টাকায় টিকিট নিয়ে মেয়েকে চিকিৎসক দেখাবেন। লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও টিকেট নিতে পারেননি। জানালা দিয়ে টিকিট বিক্রি করা না হলে হয়তো দুপুর ১টার আগে টিকিট নিতে পারতেন। চড়া দামে টিকিট কিনতে না পারায় তাকে ফিরে যেতে হচ্ছে’।