বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দলের নেতা-কর্মীদের সংযত থাকতে বলেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যার বিরুদ্ধেই লাগামহীন কথা বলার অভিযোগ বিএনপির।কাদের সোমবার ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের এক কর্মীসভায় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, স্লোগান দেওয়ার সময় উস্কানিমূলক স্লোগান দেবেন না, ভাষণ দেওয়ার সময় অশান্তির ভাষণ দেবেন না। দায়িত্বশীল কথা বলবেন, লাগামহীন কথা বলবেন না।খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দন্ড নিয়ে কারাগারে যাওয়ার পর কাদেরের বিভিন্ন বক্তব্য উসকানিমূলক বলে অভিযোগ করে আসছেন বিএনপি নেতারা।
বিএনপিকে ঘরে বসে কর্মসূচি পালনের পরামর্শ দেওয়ার পর তার সমালোচনা করেছেন কাদেরের শিক্ষক বিএনপি সমর্থক পেশাজীবী নেতা অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদও।খালেদা জিয়ার দন্ড নিয়ে পাল্টপাল্টি বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে কাদের নেতা-কর্মীদের মাথা ‘ঠান্ডা’ রাখার পরামর্শ দেন।আমরা কাউকে আক্রমণ করব না, আক্রান্ত হলে পাল্টা জবাব দেব। আমরা আক্রমণ করব না। কাজেই উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য দেবেন না। বেগম জিয়ার দন্ডপ্রাপ্তির পর বিএনপির কর্মসূচির পর আমরা কোনো কর্মসূচি দিইনি। পাল্টাপাল্টিতে আমরা নেই। আমরা আমাদের কর্মসূচি পালন করব। অন্যকে আমাদের উসকানি দেওয়ার প্রয়োজন নেই,”বলেন তিনি।আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হঠাতে দেশে-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দাবি করে দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বানও জানান কাদের। তিনি বলেন, কোথায় কোথায় এইসব চক্রান্তের বৈঠক চলছে আমরা জানি। পর্যবেক্ষণ করছি, খোঁজ-খবর আমাদের কাছে আছে।
আপনারা ঠান্ডা মাথায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধের শপথে সামনে এগিয়ে যাবেন। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি, আল্লার রহমতে কোনো অপশক্তি আমাদের বিজয়কে ঠেকাতে পারে না।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনসমর্থন নেই বলে বিএনপি ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। বেগম জিয়া দন্ডিত হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর বিএনপি ভেবেছিল রাজপথে লক্ষ লক্ষ জনতার ঢল নামবে। এখন তারা বুজতে পেরেছে সেই আশা গুঁড়েবালি। আন্দোলনের ডাক দিয়ে সফল হবে না, ভোটে তারা পরাজিত হবে- একথা জেনেই আজকে চক্রান্ত তারা করছে।তিনি বলেন, আমাদের দেশে কোনো নেত্রীর কারাদন্ড হয়, পাকিস্তানের পার্লামেন্ট সেটা নিয়ে কটাক্ষ করতে দুঃসাহস পায়। লেগেই আছে এরা, এরা আমাদের ভালো চায় না।গুলশান ইয়ুথ ক্লাব মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এ কে এম রহমত উল্লাহর সভাপতিত্বে এই সভায় কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানও বক্তব্য রাখেন।