ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলের আবাসিক ছাত্র এহসান রফিকের ওপর হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ড (ডিবি)। সোমবার তাদেরকে বহিষ্কারের এ সুপারিশ করা হয় বলে বাংলাদেশ জার্নালকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।
জানা যায়, সোমবার সকালে ডিবির এই সভায় ঘটনার সমস্ত তথ্য প্রমাণ ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হল কর্তৃপক্ষের তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে দোষীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়। যার মধ্যে একজনকে স্থায়ী বহিষ্কার, ৫ জনকে ২ বছর ও একজনকে ১ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। ডিবির এই সুপারিশ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী বোর্ড সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর।
এহসান রফিকের উপর হামলায় জড়িত থাকায় মার্কেটিং বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কর্মী মো. ওমর ফারুককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া পাঁচজনকে ২ বছর বিশ্ববিদ্যালয় এবং হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। হামলায় প্ররোচনার দায়ে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র মো. আরিফুল ইসলামকে ১ বছর বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্থায়ীভাবে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দু’বছরের জন্য বহিষ্কৃতরা হলেন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম সামি, দর্শন বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী আহসান উল্লাহ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মো.রুহুল আমিন বেপারী, উর্দু বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মেহেদী হাসান হিমেল এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিন আহমেদ। বহিষ্কারের সুপারিশকৃত ৭ জনের ৫ জনই ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ৬ ফেব্রুয়ারি ধার দেয়া ক্যালকুলেটর ফেরত চাইতে গিয়ে হল শাখা ছাত্রলীগের হাতে পিটুণির শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এহসান রফিক। এতে তার বাম চোখ মারাত্মকভাবে জখম হয়।