অভিনব কায়দায় এবারে ব্যবহারিক খাতায় স্বাক্ষরের কথা বলে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ লালমনিরহাটের মানসিকা মেডিকেল ইনস্টিটিউটের পরিচালক আসাদুজ্জামান আসাদকে গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে জেলার আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ি ইউনিয়নের খাতাপাড়া এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। আসাদ ঐ এলাকার অ্যাডভোকেট শামছুল আলমের ছেলে।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার খাতাপাড়াস্থ মানসিকা মেডিকেল ইনস্টিটিউট নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন অ্যাডভোকেট শামছুল আলম। সেই প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন প্রতিষ্ঠাতার ছেলে আসাদুজ্জামান আসাদ। গত ৫ ফেব্রুয়ারী ব্যবহারিক খাতায় স্বাক্ষর করার জন্য প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষার্থী (নববধু) পরিচালকের স্মরণাপন্ন হলে তাকে প্রতিষ্ঠানের পাশেই তার বাসভবনে ডাকেন। ওই বাসায় যাওয়া মাত্রই রুমের দরজা বন্ধ করে জোরপুর্বক ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে আসাদ। এবং বিষয়টি কারও কাছে প্রকাশ করলে পরীক্ষার খাতায় নম্বর কম দেয়াসহ প্রাণ নাশের হুমকী দেয়।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারী) শিক্ষার্থী বিষয়টি তার স্বামীকে অবগত করলে তার স্বামী থানায় অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেন। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) সকালে ওই শিক্ষার্থী আদিতমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তে নামে থানা পুলিশ। আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেশ্বর রায় জানান, তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেলে পুলিশ ধর্ষণ মামলা গ্রহণ করে ধর্ষক আসাদুজ্জামানকে গ্রেফতার করে।