কথাসাহিত্যিক আব্দুর রউফ চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি। তিনি ছিলেন বাংলা সাহিত্যজগতে দ্রোহী কথাসাহিত্যের শুদ্ধ আধুনিকোত্তরক। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণার পর থেকেই তিনি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালনসহ স্বাধীনতা লাভের জন্য নানাভাবে কাজ শুরু করেন। ২৫ মার্চের রাত ও ২৬ মার্চের ভোর রাতের পৈশাচিকতার সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশের মুক্তির পক্ষে সোচ্চার হয়ে উঠেন তিনি। সে সময় তিনি ইংল্যান্ডের ‘পাকিস্তান সোসাইটি’র সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করে ‘সেন্ট আলব্যানস বাংলাদেশ অ্যাকশন কমিটি’ গঠন করেন এবং আহবায়ক নির্বাচিত হন। বিশ্বজনমত গঠনের জন্য ইংল্যান্ডের বিভিন্ন শহর ভ্রমণ ও বক্তৃতা দিয়ে তহবিল সংগ্রহ করেন।
১৯৯৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তার প্রিয় সংগঠন ‘হবিগঞ্জ সাহিত্য পরিষদ’-এর উদ্যোগে আয়োজিত হবিগঞ্জ মুক্ত স্কাউট ভবনে ‘মহান একুশের স্মরণে’ আয়োজিত আলোচনা মঞ্চে বাঙালি সংস্কৃতি ও বাংলা ভাষার অবমাননার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী বক্তব্য দেয়ার সময় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘নতুন দিগন্ত’, ‘পরদেশে পরবাসী’, ‘অনিকেত’, ‘মা’ (উপন্যাস), ‘গল্পসম্ভার’, ‘গল্পভুবন’, ‘বিদেশি বৃষ্টি’, ‘গল্পসল্প’ (ছোটগল্পের সংকলন), ‘৭১-এ কবিতা’, ‘কবিতাগুচ্ছ’, ‘স্মৃতিতে একাত্তর’, ‘বাঙালির উৎস সন্ধানে’, ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ’, ‘প্রবন্ধগুচ্ছ’, ‘প্রবন্ধনিবন্ধ’ প্রভৃতি।