মুক্তিযোদ্ধার দেশ।।
—————————–

স্বাধীনতা এসে পড়েছিল খুব অল্প সময়ে ভেবেছিলে, তার মুল্য দিতে তাই তোমাদের অস্বীকৃতির বোধ জন্মে ছিল।
এটার শুরু তখন যখন জান কবুল করে মাতৃ ভাষার জন্য লড়েছি,স্বপ্ন বুনেছি স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকার,সেই থেকে বাংগালী মনে দীপ্ত সুপ্ত বাসনা স্বাধীন বাঙলার,তার জন্য কত ত্যাগ কত প্রান কত রক্ত ঝরেছে!
জন্মমুহূর্তের সেই রক্ত দীপ্ত জীবনাংক আর তোমাদের অস্বীকৃতির ভ্রুকুটি ছায়া আমাদের সংগী,যা আজও আমাদের ছায়ার মত তাড়িয়ে নেয়,কি অদ্ভুত নৈঃশব্দ্য কারুকাজ তোমাদের হিংস্র যাপন প্রণালীতে!

আমি বহুদিন পর আজও চমকে যাই,শিহরিত হই!
আশ্চর্য এক নিঃস্তদ্ধতার রাত্রি
ভেদ করে দূর থেকে ভেসে আসে
নির্যাতিতা মা-বোনের হাহাকার,
মিশে যায় আবার ফাগুন ধারায়।
নাগিরিক রাত সাক্ষী হয়ে থাকে শুধু
অনিয়মের যাঁতাকলে।

আমরা ভেবেছিলাম নতুন কুড়িতেও ফুল ফুটবে, ফুটবে গণতন্ত্র!
তাই সেদিন বলেছিলাম, আমার রক্ত মাঝেই ফুটুক স্বাধীনতার রক্ত গোলাপ।
কিন্তু আজ রক্তাক্ত স্বাধীনতা চিৎকার বলে তোমরা আমাকে নিতে পারনি,পারনি ধারন করতে গনতন্ত্রে!

দিন বদলেছে সত্যি,তবে মুক্তিযোদ্ধার স্বপ্নের মতো করে নয়।
নেতার উত্তরসূরি আর তথাকথিত পক্ষ শক্তির ইজারাদারেরা
নীতির কাছে আপোষ আর লোভের ব্লেডে কেটে ফালা ফালা করেছে গনতন্ত্র।
তাই হতাশার বারান্দায় দাঁড়িয়ে,বাস্তবতার রেলিঙে ঝুলে থাকা মুক্তিযোদ্ধার স্বপ্নবীজ
সংবিধানের বদ্ধ কারাগৃহে বিকলাঙ্গ প্রায়।

গনতন্ত্রের ঘোষণাই যে আজ সময়ের ইশতেহার হতে পারে!
না হলে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরেই পচে মরবে শুধু ইতিহাস হয়ে,
সময়ের পিঠে চড়ে বহুকাল পরে তোমাদের কথা
ইতিহাস ঠিকই নেবে খুঁজে।

♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣
ঢাকা: ২০শে ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ইং।
____জাহিদ শরীফ নাসিম।।