গাজীপুরে ছিনতাই করতে গিয়ে গণপিটুনিতে মাইক্রোবাস চালক এক ছিনতাইকারী নিহত হয়েছে। নিহতের নাম আবু হানিফা (২৬)। সে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কড়ইবাড়ি গ্রামের মৃত আবদুল গফুরের ছেলে। হানিফা গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণ চতর এলাকায় জনৈক খানের বাড়িতে ভাড়া থাকতো।
জয়দেবপুর থানার এসআই মো. সাদেকুজ্জামান জানান, ঢাকার উত্তরার মা মটরসের কর্মকর্তা জসিম উদ্দীন ঢাকায় যাওয়ার জন্য বুধবার রাতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাজীপুর সদর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করছিলেন। রাত ৮টার দিকে একটি মাইক্রোবাস এসে তার সামনে থামে। জসিম গাজীপুর চৌরাস্তায় যাওয়ার জন্য ৫০ টাকা ভাড়া নির্ধারন করে মাইক্রোবাসে উঠেন। মাইক্রোবাসটিতে চালকসহ ৪জন আরোহী ছিল। পথে সালনা এলাকায় পৌছালে যাত্রী বেশী মাইক্রোবাস আরোহী ছিনতাইকারা জসিম উদ্দীনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মারধর করে এবং তার কাছ থেকে ৯৮ হাজার ৮০০ টাকা ও দুইটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। গাড়িটি দক্ষিণ সালনা এলাকায় যানজটে আটকা পড়ে। এসময় জসিম চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয় এবং মাইক্রোবাসটি আটক করে। অবস্থা বেগতিক দেখে ছিনতাইকারী দলের চারজন টাকা ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা চালক হানিফাকে আটক করে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহতাবস্থায় হানিফাকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে হানিফার মৃত্যু হয়।
নিহতের বোন নাজমা আক্তার জানান, হানিফা এক পুলিশ কর্মকর্তার গাড়ি চালাতো। প্রায় একমাস আগে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে আহত করে। বেশ কিছুদিন ধরে সে বাসায় অবস্থান করছিল। বুধবার বিকেলে ইমু ও রিয়াজুল নামে দুই ব্যক্তি হানিফাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। রাতে হানিফা আহত হওয়ার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন স্বজনরা। হানিফা কোন ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িত না।