ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাটগোপালপুর সোনালী ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক জুলফিকার আলীর বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ব্যানার খুলে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, গত ১১ জানুয়ারি সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন (রেজি নং বি-২০২) এর ঝিনাইদহ প্রিন্সিপাল কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি কামাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক হাসান খসরু। কমিটিতে সিরাজুল ইসলামকে সভাপতি ও আব্দুল কুদ্দুসকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। নতুন এই কমিটিকে জেলা ও কেন্দ্রীয় ভাবে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। জেলা কমিটির পক্ষ থেকে সোনালী ব্যাংক ঝিনাইদহ শাখা ও হাটগোপালপুর শাখায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি দিয়ে অভিনন্দন ব্যানার টাঙ্গানো হয়েছিল। কিন্তু হাটগোপালপুর শাখার ব্যবস্থাপক জুলফিকার আলী ব্যানারটি খুলে ফেলেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন (রেজি নং বি-২০২) এর ঝিনাইদহ প্রিন্সিপাল কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস অভিযোগ করেন, জাতীয় শ্রমিক লীগের অন্তর্ভুক্ত একটি সংগঠন সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন (রেজি নং বি-২০২)। একজন ব্যবস্থাপক কিভাবে ব্যানারটি খুলে ফেললেন তা বোধগম্য নই। ব্যবস্থাপকের এমন ঘৃণ্য ও ধৃষ্টতাপুর্ণ কাজের বিচার দাবী করেন তিনি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা জুলফিকার আলী বলেন, ব্যানার খুলে ফেলার কোন ঘটনা ঘটেনি। বঙ্গবন্ধু পরিষদের একজন নেতা হিসেবে আমি এ ধরনের কাজ করব তা বিশ্বাস যোগ্য নই। ব্যানারের বিষয়ে তিনি বলেন, নতুন যে কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে তার কোন কাগজপত্র আমাদের শাখায় দেওয়া হয়নি। এছাড়াও ব্যানার বা প্যানা টাঙ্গানোর বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোন অনুমোদনও নেই। ব্যাংকের এজিও-২ সিরাজুল ইসলাম ব্যানার টাঙ্গানোর সময় তাকে বলেছিলাম কমিটির নথি দিয়ে টাঙ্গাতে। সে কাগজ না দিতে পারায় নিজেই ব্যানারটি খুলে ফেলেছেন। তবে সিরাজুল ইসলাম ব্যাংক ম্যানেজারের কথা অসত্য দাবী করে বলেন, অফিসের মধ্যে একটা ব্যানার ছিল সেটা আমি খুলে অন্য শাখায় পাঠিয়ে দিয়েছি। ব্যাংকের সামনে যে ব্যানারটি টাঙ্গানো ছিল সেটি ম্যানেজারের নির্দেশে ওই শাখায় কর্মরত আনসার সদস্যরা খুলে ফেলে দেয়।