আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির নির্বাচনকালীন সরকারে থাকার কোন সুযোগ নেই।তিনি বলেন, বর্তমান সংসদে বিএনপির কোন প্রতিনিধিত্ব নেই। কাজেই নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির অন্তর্ভূক্তির কোন সুযোগ নেই।বিগত নির্বাচনের সময় বিএনপিকে নির্বাচনকালীন সরকারে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, তাদেরকে এই সরকারে যোগদানের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এমনকি তাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। তারা তা প্রত্যাখান করেছে।এখনতো তারা পার্লামেন্টে নেই। আমরা কীভাবে তাদেরকে আমন্ত্রণ জানাব।ওবায়দুল কাদের বৃহষ্পতিবার দুপুরে জেলা শহরের ত্রিমোহনীতে ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘কুড়িগ্রাম-রাজারহাট-তিস্তা জেলা মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প’র উদ্বোধনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন।
ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ঘটনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘ এ ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্তে ছাত্রলীগের কেউ দোষী প্রমাণিত হলে প্রশাসনিক ও সাংগঠনিকভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে প্রথম কারা ইউনিভার্সিটিতে ঢুকে ভিসি অফিসের দরজা ভাঙলো, তালা ভাঙলো তা দেখতে হবে।পরে মন্ত্রী কুড়িগ্রাম কলেজরোডস্থ স্বাধীনতার বিজয় স্তম্ভে দলের এক প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম মন্ডলের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিএম মোজাম্মেল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাফর আলী।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনীতি এখন জোতিষবিদ্যায় সীমাবদ্ধ। তিনি মনগড়াভাবে জাতীয় সংসদের সিট বন্টন করছেন। সর্বশেষ বলছেন মাত্র ৮ ভাগ লোক আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে।তিনি বলেন, বিএনপি ঘরে বসে রাজনীতি করে। তাই জনগনের ক্ষমতা জানে না। বিএনপির রাজনীতি এখন নালিশে সীমাবদ্ধ।’
কাদের বলেন, ‘মন্ত্রী হলে ভাগিনা আর ভাতিজার সংখ্যা বেড়ে যায়। কত ভাগিনা। নিজেই চিনিনা। আমি আগে তাদের শক্তহাতে মোকাবেলা করেছি এখন আমার নামে কেউ পরিচয় দিতে সাহস পায়না।পরে তিনি শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেন।
এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাট জেলা পরিষদ মিলনায়তন মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত এক কর্মীসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ, ইঞ্জিনিয়ার আবু সাঈদ দুলাল এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান ও এডভোকেট সফুরা বেগম রুমী এমপি।