অফশোর প্রতিষ্ঠান করে টাকা পাচারের অভিযোগে এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক, ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড ট্রেজারি শাখার প্রধান আবু হেনা মোস্তফা কামাল এবং ব্যবসায়ী সাইফুল হককে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এ তথ্য জানিয়েছেন। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজই এ ঘটনায় এই তিনজনসহ আটজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলা করেন।দুদক সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার ব্যবসায়ী সাইফুল হক এবি ব্যাংকের প্রথম চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী এম মোরশেদ খানের জামাতা। এর আগে গত মাসে এ তিনজনকে কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।দুদক সূত্রগুলো জানায়, ২০১৪ সালে এবি ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি না নিয়েই ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১৬৫ কোটি টাকা প্রায়) মধ্যপ্রাচ্যের একটি ব্যাংক হিসেবে পাঠায়। এর পেছনে ব্যবসায়ী সাইফুল ও তাঁর সহযোগী সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগরিক খুররম আব্দুল্লাহ কলকাঠি নেড়েছেন বলে কর্মকর্তাদের ধারণা। বাংলাদেশে বিমান সংস্থা ফ্লাই দুবাই-এর স্থানীয় এজেন্ট সাইফুলের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান স্কাই এভিয়েশন। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে তাঁর কিছু ব্যবসা রয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে ফ্লাই দুবাইয়ের নামে শুল্কমুক্ত কোটায় মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আনা চারটি বিলাসবহুল গাড়ি শুল্ক গোয়েন্দারা আটকে দিলে সাইফুল হক ও তাঁর প্রতিষ্ঠান স্কাই এভিয়েশন আলোচনায় আসে। পরে রোলস রয়েস, পোরশ, রেঞ্জ রোভার স্পোর্টস ও ল্যান্ড রোভার ডিসকভারি ফোর এস গাড়িগুলো জব্দ করা হয়।
ভুয়া দলিল তৈরি করে রাজউক থেকে অনুমতি নেওয়ার পর নকশার বাইরে ভবন নির্মাণ করে বিক্রি ও ভোগদখলের অভিযোগে প্রকৌশলী আনিসুজ্জামানের বিপক্ষে রমনা মডেল থানায় দুদক মামলা করছে। তিনি জামান কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী। মামলার বাদী ঢাকা-১ এর দুদকের উপসহকারী পরিচালক মেফতাহুল জান্নাত।মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিগণ পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অন্যায়ভাবে নিজে লাভবান হওয়া এবং অন্যকে লাভবান করার অসৎ অভিপ্রায়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন পশ্চিম ধানমন্ডির ৯/এ নম্বর রোডে ১১৬নং হোল্ডিং এর ০৪৬৫ অজুতাংশ (প্রায় ৩ কাঠা) জমির স্থলে ০৭৫০ অজুতাংশ জমির ভুয়া দলিলসহ কাগজপত্র তৈরি করে। এরপর রাজউকের কাছে থেকে সেখানে ৬ তলায় নকশা অনুমোদন নেয়। কিন্তু সেখানে ৬ তলা বিল্ডিং সম্পূর্ণ নির্মাণ এবং ৭ম, ৮ম ও ৯ম তলা আংশিক নির্মাণ করে তা বিক্রয় ও ভোগ দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।