পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক বলেছেন, ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ ছাড়া আমার সিদ্ধান্তে ঝুঁকি নিয়ে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের গ্রেফতার করেছি। কারণ এ সময় তাদের গ্রেফতার না করা হলে আর সম্ভব হতো না।

তিনি বলেন,আইনে আছে তদন্ত ইউনিট ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর ট্রাইব্যুনাল গ্রেফতারের আদেশ দিলে যুদ্ধাপরাধীদের গ্রেফতার করতে হবে। কিন্তু এ আদেশ পাওয়া পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধীরা বসে থাকতেন না। তারা বিভিন্ন দেশে গিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করতেন। আমি তাদের সে সুযোগ দেইনি। যাদের গ্রেফতার করেছিলাম, তারা পরবর্তীতে আর বের হতে পারেননি। তাদের বিচার হয়েছে। এগুলো আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে করেছি। রোববার (২১ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় শরীয়তপুর পুলিশ লাইন্স মাঠে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি এসব কথা বলেন। শরীয়তপুর জেলা পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনার উদ্বোধন উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল হোসাইন খান, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন, জাজিরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোবারক আলী শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের মহাসচিব আলাউদ্দিন মিয়া, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি নুর মোহাম্মদ কোতোয়াল, শরীয়তপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবুল কামাল আজাদ ও নড়িয়া পৌরসভার মেয়র শহীদুল ইসলাম বাবু।