বাংলাদেশ থেকে এবার এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘গত ১৪ জানুয়ারি সৌদি সরকারের সঙ্গে হজ চুক্তি সম্পাদন হয়েছে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন সাত হাজার ১৯৮ জন। বাকি এক লাখ ২০ হাজার জন যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়।
রোববার সকালে সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় ভারপ্রাপ্ত সচিব আনিছুর রহমান এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) উপস্থিত ছিলেন।ধর্মমন্ত্রী বলেন, আগের মতো এবারও ৫০ শতাংশ হজ যাত্রী বাংলাদেশ বিমান বহন করবে। বাকি ৫০ শতাংশ বহন করবে সৌদি এয়ারলাইন্স। তবে এবছর সৌদি সরকার সেখানের সব ধরনের পণ্য ক্রয়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করেছে। যা চলতি বছর ১ জানুয়ারি থকে কার্যকর হয়েছে। ফলে আবাসন, খাদ্য ও পরিবহন খাতে এর প্রভাব পড়বে। তবে এর প্রভাব যাতে হজ যাত্রীদের ওপর না পড়ে সেজন্য চেষ্টা করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।এ বছর হজে যেতে প্রি-রেজিস্ট্রেশন কতজন সম্পন্ন করেছেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রেজিস্ট্রেশন করেছেন দুই লাখ ২৯ হাজার ৭৬৪ জন। এটা বাছাই করার পর ১ ফেব্র“য়ারি থেকে রেজিস্ট্রেশন শুরুর কথা রয়েছে। যা চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।প্রি-রেজিস্ট্রেশনের বিপরীতে কোটা বাড়ানোর আবেদন করেছেন কিনা- জানতে চাইলে ধর্মমন্ত্রী বলেন, কোটা বাড়াতে আবেদন করেছি। সৌদি সরকার আবেদন বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বছর ভারত থেকে ৫-৭ হাজার হজযাত্রী জাহাজে সৌদি আরব যেতে পারবেন। জাহাজে করে হজে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে সৌদি সরকার। এটা জানার পর আমরাও জাহাজে করে হজযাত্রী পাঠানোর প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু সৌদি সরকার তা অনুমোদন করেনি। কারণ মুম্বাই থেকে জাহাজে করে সৌদি যেতে সময় লাগে মাত্র ৩-৪ দিন। কিন্তু বাংলাদেশের সময় লাগবে ১৭-১৮ দিন। খরচ কমানোর জন্যই এই আবেদন করা হয়েছিল কিন্তু তারা অনুমোদন করেনি।এ বছর হজ প্যাকেজ কত টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে- প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্যাকেজ এখনও নির্ধারণ করতে পারিনি। কারণ সৌদি সরকারের ৫ শতাংশ ভ্যাট কোথায় কোথায় ছাড় পাওয়া যাবে সেটা এখনও স্পষ্ট হয়নি। সেগুলো জানার পর আমরা প্যাকেজ নির্ধারণ করতে পারবো। এজন্য সপ্তাহ দুয়েক অপেক্ষা করতে হবে।হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ২৪৫টি এজেন্সির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আছে। এর তদন্ত চলছে। শিগগিরই তদন্ত রিপোর্ট পাবো। এরপর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।