নিজেদের ভরাডুবির কথা বুঝতে পেরে আওয়ামী লীগ হাইকোর্টের মাধ্যমে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপ-নির্বাচন স্থগিত করিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।খন্দকারমোশাররফ হোসেন বলেন, ডিএনসিসি উপ-নির্বাচনের সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে গোয়েন্দারা সরকারকে রিপোর্ট দিয়েছে। এসব রিপোর্টে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবির চিত্র ফুটে উঠেছে। তাই নিজেদের লোক দিয়ে রিট করিয়ে এবং সরকারের ইঙ্গিতেই হাইকোর্টের মাধ্যমে ডিএনসিসির উপ-নির্বাচন স্থগিত করানো হয়েছে।আনিসুল হকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং দুই সিটিতে নতুন যুক্ত হওয়া ৩৬টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচনের জন্য ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন ঠিক করে তফসিল দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
সে অনুযায়ী বিএনপি ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে তাদের প্রার্থী হিসেবে তাবিথ আউয়াল এবং আওয়ামী লীগ আতিকুল ইসলামের নাম ঘোষণা করে।কিন্তু বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দুই ইউপি চেয়ারম্যানের করা রিট আবেদনে হাই কোর্ট বুধবার ওই নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করে দেয়। সাম্প্রতিক সময়ে কুমিল্লা ও রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর হারের প্রসঙ্গ টেনে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আপনারা দেখেছেনৃ তাদের পরাজয় শুরু হয়েছে।এই বিএনপি নেতার দাবি, ঢাকা উত্তরের নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীনরা যেসব ‘গোয়েন্দা প্রতিবেদন’ পেয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, জনগণ ভোট দিতে পারলে সেখানে আওয়ামী লীগের ‘ভরাডুবি’ হবে। এ কারণেই তারা নির্বাচন স্থগিতের পথে গেছে। আমরা বলতে চাই, আওয়ামী লীগের যে পরাজয় শুরু হয়েছে, তাদের এই পরাজয় একাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত কেউ রুখতে পারবে না, তা অব্যাহত থাকবে। দেশে গণতন্ত্র ‘ফিরিয়ে আনতে’ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান খন্দকার মোশাররফ।জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে স্বাধীনতা ফোরামের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র ও শহীদ জিয়া’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।
সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে, সহ-সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ বাবুলের পরিচালনায় এ অনুষ্ঠানে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন, খালেদা ইয়াসমীন, জাতীয় দলের সভাপতি সৈয়দ এহসানুল হুদা উপস্থিত ছিলেন।