ভাইয়েভাইয়ে দন্দে এক ভাইয়ের বাড়িতে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেন অপর ভাই। বাড়ির রাস্তা বন্ধ করার বাঁধা দিতে গিয়ে ছেলের উপর আক্রমন করে অপর ভাইয়ের পরিবার। তাদের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে এবারে প্রান গেল এক বৃদ্ধা মায়ের।
আর এ ঘটনায় সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মৃত বৃদ্ধা মা আয়েশা বেগম (৬৫) সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের গুড়িয়াদহ গ্রামের জবর আলীর স্ত্রী। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, জবর আলীরা ৪ ভাইয়ের পৈত্রিক সম্পত্তিতে পৃথক পৃথক বাড়ি করে ছেলে মেয়ে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। পৈত্রিক ওই জমির পিছনে বাড়ি করে বড় ভাই জবর আলী। রাস্তার পাশে দুই ভাই তসলিম ও জাফর আলীর বাড়ির পাশ দিয়ে জবর আলীর বাড়ি যাওয়ার রাস্তা।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে হঠাৎ জবর আলীর পরিবারের রাস্তা বন্ধ করতে বেড়া দিতে যায় তসলিম উদ্দিন ও তার ছেলে সিরাজুল ইসলাম(৩০)। এতে বাঁধা দেয় জবর আলীর ছেলে আকরুল ইসলাম। এ সময় উভয়ের মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যয়ে সিরাজুল গাইন (গাছের মোটা ডাল) নিয়ে এলে ছেলে আকরুলকে বাঁচাতে যায় তার মা আয়শা বেগম। আকরুলের মায়ের কথায় পিছু পা হলে সিরাজুল ওই গাইন দিয়ে জ্যাঠাই মা আয়েশার মাথায় সজোড়ে আঘাত করে বাপ-ছেলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত বৃদ্ধা আয়েশা বেগমকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় রোববার রাতে বৃদ্ধা আয়েশা বেগমের মৃত্যু ঘটে। পরে সদর থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহত বৃদ্ধার ছেলে আকরুল ইসলাম বাদি হয়ে সোমবার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ তসলিমের ভাই জাফর আলীকে গ্রেফতার করেছে। লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মাহফুজ আলম জানান, হত্যা মামলায় তিন নম্ব^র এজাহার নামিয় আসামী জাফরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুলহোতাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।