শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ(রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও চারজন মারা গেছেন। সোমবার সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে এক পুরুষ ও দুই নারী এবং গত রবিবার রাত ১০টার দিকে আরেক নারীর মৃত্যু হয়। চলতি মাসে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে রমেক হাসপাতালে এই নিয়ে মারা গেল মোট ১৪ জন।
রমেক বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. মারুফুল ইসলাম জানান, নিহতরা শীত নিবারণে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়েছিলেন । এরা হলেন, লালমনিরহাটের খুকুমনি (৭০), গাইবান্ধার জয়নুল আবেদীন (৬৫), রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার হাসু বেগম (৬৭) ও জামিরুন বেওয়া (৮০)। এদের মধ্যে খুকুমনি রবিবার রাতে মারা যান।এই মাসের শুরুতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে রমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে আরও সাতজন, শনিবার রাতে দুইজন এবং রবিবার সকালে আরও এক নারীর মৃত্যু হয়ছিল। এর আগে মারা যাওয়া ১০ জন হলেন, রংপুর নগরীর নজিবের হাট এলাকার বেলাল হোসেনের স্ত্রী আফরোজা খাতুন, ঠাকুরগাঁও শহরের থানাপাড়ার আঁখি আক্তার (৪৫), রংপুরের জুম্মাপাড়া পাকারমাথার রুমা খাতুন (৬৫), কাউনিয়া উপজেলার গোলাপী বেগম (৩০), লালমনিরহাট সদরের শাম্মী আখতার (২৭), পাটগ্রাম উপজেলার ফাতেমা বেগম(৩২), আলো বেগম (২২), নীলফামারী সদরের রেহেনা বেগম (২৫), রংপুর সিটি করপোরেশেনের মাহিগঞ্জের চাঁন মিয়ার স্ত্রী মনি বেগম (২৫) এবং নীলফামারী সদরের সোনারমের আমজাদ হোসেনের স্ত্রী মারুফা খাতুন (৩০)।রমেক হাসপাতালে পরিচালক ডাক্তার অজয় কৃষ্ঞ রায় জানান, বার্ন ইউনিটের শয্যা সংখ্যা ১৩। গত দুই সপ্তাহে গড় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫৫। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এর মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে ৯ দগ্ধ রোগীকে । চলতি মাসে দগ্ধ হয়ে রমেক হাসপাতালে এই নিয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হল।