বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে সীমান্ত অঞ্চলের চারটি আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। রোববার দুপুরে দ্বিতীয় দফায় ১৯৯ জন রোহিঙ্গাকে কুতুপালংয়ে সরিয়ে নেয়া হয়।
প্রশাসন ও স্থানীয়রা জানায়, জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের সাপমারাঝিরি রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্র থেকে আশ্রয় নেয়া ৪৬ রোহিঙ্গা পরিবারের ১৯৯ জন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিককে সাতটি বাসে করে উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করছে। তাদের সহযোহিতা করছে রেড ক্রিসেন্ট ও রেড ক্রস।শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ্দুজার নেতৃত্বে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ও দৌছড়ি তিনটি ইউনিয়নের চারটি আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানরত প্রায় ১৬ হাজার রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। কুতুপালং এ রোহিঙ্গাদের জন্য তাবু, পানির ব্যবস্থা, ল্যাট্রিনসহ সব ধরনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে ঘুমধুম ইউনিয়নের শূণ্যরেখা থেকে তিন হাজার রোহিঙ্গাকে উখিয়ায় সরিয়ে নেয়া হয়েছিল।নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম সরওয়ার কামাল জানান, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। রোববার সাপমারাঝিরি আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ৪৬ রোহিঙ্গা পরিবারের ১৯৯ জন মিয়ানমারের রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আগামী ২০ দিনের মধ্যে সাপমারাঝিরি, বড়ছনখোলা, বাহিরমাঠ ও কোনারপাড়া সীমান্ত থেকে পর্যায়ক্রমে সব রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেয়া হবে।বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর, দৌছড়ি, ঘুমধুম তিনটি ইউনিয়নের ১৫ হাজার ৩৪৯ জন রোহিঙ্গা রয়েছেন বলে তিনি জানান।