কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত। হাড় কাঁপানো শীতে জুবুথুবু অবস্থা জনজীবনে। রোববার সূর্য উঁকি দিলেও ছিল না তেমন তেজ। দিনভর বাতাসে ছিল শীতের দাপট। বেলা গড়তেই বাড়তে থাকে শীত। ঘর থেকে বের হলেই শরীরে কাঁপন ধরায়। শীত ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন স্থবির হয়ে পরেছে। হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে রোববার সর্বনি¤ তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ ২০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর হতে বের হচ্ছে না মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে শীত কষ্টে ভুগছে শিশু, বৃদ্ধসহ নি¤œ আয়ের কর্মজীবী মানুষ। সন্ধ্যা থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো জনপদ। দিনের বেশির ভাগ সময় সুর্য়ের দেখা না মেলায় তাপমাত্রা নি¤œগামী হচ্ছে। এ অবস্থায় শীত কাতর মানুষেরা খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে। বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তাসহ ১৬ টি নদ-নদীর অববাহিকায় ৪ শত ২০টি চরের মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীত কষ্টে ভুগছে। তীব্র ঠান্ডা ও শৈতপ্রবাহে কাজে বের হতে পারছে না কর্মজীবী মানুষেরা। দুর্ভোগ বাড়তে থাকায় বিপাকে পরেছে এসব হতদরিদ্র মানুষ। জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান জানান, শীতের দাপট কিছুটা বেড়েছে। শীতার্তদের জন্য ৯ উপজেলায় ৫৭ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা বিতরন কাজ চলছে। এছাড়াও নতুন করে আরও ৪০ হাজার কম্বল ও ১০ হাজার শিশু উপযোগী গড়ম কাপড়ের চাহিদা পাঠানো হয়েছে।