কক্সবাজারের মহেশখালীতে আকাশে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানবাহিনীর দু’টি প্রশিক্ষণ বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করতে কাজ শুরু করছে বিমান বাহিনীর একটি দল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তারা পৃথকভাবে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। প্রতিনিধি দলকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করছে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের একটি দল।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, ‘আজ সকাল থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর স্কোয়াডন লিডার মেজর নাজমুলের নেতৃত্বে ৫০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল উদ্ধার অভিযানে অংশ নিচ্ছে। তারা সকালে মহেশখালী পৌঁছে বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ যেখানে পড়েছে সব জায়গায় পরিদর্শন করে বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। তাদের সাথে চকরিয়া, মহেশখালী ও কক্সবাজারের ফায়ার সার্ভিসের ৩টি টিম কাজ করছে।

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, বিমান বাহিনীর ৫০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল মহেশখালী এসে আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে অবস্থান নেয়। এরপর দুইটি দলে ভাগ হয়ে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা মহেশখালী পৌরসভার পুটিবিলা ও ছোট মহেশখালীর মাইজপাড়ার দুটি ভিন্ন স্পটে বিমানের ভগ্নাংশ উদ্ধারের কাজ শুরু করে। উদ্ধার হওয়া বিমানের ভগ্নাংশগুলো মহেশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে নিয়ে আসা হচ্ছে। সেখান থেকে কার্গো বিমানে করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান তিনি।

ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে
বিমান বিধ্বস্তের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেয়ারও আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, মহেশখালী পুটিবিলার ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিক আব্দুস সাত্তার ও ছোট মহেশখালীর লম্বাঘোনা বাজারের পাশে মাইজপাড়ার ক্ষতিগ্রস্ত পানের বরজ মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। ইতোমধ্যে তাদের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে।  ধ্বংসাবশেষ দেখতে ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতা ভিড় করেছে। মহেশখালীর পাশাপাশি কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলা থেকে এই দৃশ্য দেখতে মহেশখালীতে ছুটছে লোকজন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে মহেশখালীতে বিমান বাহিনীর প্রধান
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার। বৃহস্পতিবার দুপুর ১.৩৭-এ হেলিকপ্টার যোগে মহেশখালীতে পৌঁছে হেলিকপ্টারে করেই তিনি বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারস্থান পরিদর্শন করেন বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড.একেএম ইকবাল হোসেন।

বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় মহেশখালী পৌরসভার দক্ষিণ পুুটিবিলার বসতবাড়ির ওপর একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। আরেকটি বিধ্বস্ত হয় মাইজপাড়া গ্রামের পানের বরজের উপর। এ ঘটনায় ৪ পাইলটকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। এ বিষয়ে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলছে বলে আইএসপিআর সূত্র জানিয়েছেন।