বড়দিনের বন্ধের দিনে সোমবার সকাল থেকেই গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ছিল পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। তবে পর্যটকদের অভিযোগ কোর সাফারিপার্কে ঢুকতে গিয়ে শিশু ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে। সোমবার গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পার্কের কোর সাফারিপার্ক, পাখি অ্যাভিয়ারি, কুমির, প্রজাপতি কর্ণারসহ বিভিন্ন অংশে অন্যদিনের তুলনায় পর্যটকদের বেশি ভিড় জমে আছে।

ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা নুরুল হুদা জানান, সোমবার বড় দিনের বন্ধে স্ত্রী-সন্তান সহ সাফারি পার্কে বেড়াতে যাই। তাদের সঙ্গে ১০জনই ছিল স্কুলের শিক্ষার্থী, যাদের বয়স ছিল ১৫বছরের নীচে। গাড়িতে চড়ে খোলা পরিবেশে সিংহ, বাঘ,হরিণ, ভালুক, জেব্রা, জিরাফ ও আফ্রিকান ওয়াইল্ড বিস্টসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী দেখতে পেয়ে আনন্দ পেয়েছি। তবে বঙ্গবন্ধু সাফারিপার্কের কোর সাফারিপার্কে ঢুকতে পূর্ণবয়স্কদের সঙ্গে তাদের শিশুদের জন্যও ১০০টাকা করে নেয়া হয়েছে।

একই অভিযোগ করেন ঢাকার বংশালের বাসিন্দা মো. আশরাফ উদ্দিন। তিনি জানান, তারা পরিবারের ১০জন নিয়ে গেছেন পার্কে, যাদের মধ্যে সাতজনই ছিল অপ্রাপ্ত বয়স্ক। কোর সাফারিপার্কে ঢুকতে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের কাছ থেকে পূর্ণবয়স্কদের সমান টাকা দিতে হয়েছে। ওই অংশে পার্কের নিজস্ব গাড়িতে চড়ে খোলা বনের ভেতরে থাকা বন্যপ্রাণীগুলো দেখার সময় গাড়ির গতি বেশি থাকায় তারা ভালভাবে উপভোগ করতে পারেননি।

ঢাকার কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা মো. লিটন মিয়া জানান, তাদের ১৮জনের মধ্যে ১০জনই ছিল শিশু। তারা অভিযোগ কেেরন, কোর সাফারি পার্কে সকলে ১০০টাকা দিয়ে প্রবেশ করেছেন। পরে জানতে পারেন পার্কের ওই অংশে ঢুকতে ১৮বছরের কম বয়সী ও শিক্ষার্থীদের ঢুকতে ৫০টাকা প্রবেশ ফি নির্ধারিত আছে। পরে ওই অতিরিক্ত টাকা ফেরত চাইলে ফটকে থাকা পাল এন্ড ব্রাদার্সের ইজারা প্রতিষ্ঠানের লোকজন তা ফেরত দেননি।

এব্যাপারে ওই পার্কের কোর সাফারি পার্কেরে ইজারা পাওয়া প্রতিষ্ঠান পাল এন্ড ব্রাদার্সের টিকিট ব্যবস্থাপক মো. হাসান মিয়া বাচ্চাদের কাছ থেকে ১০০টাকা করে নেয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।

পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মোতালেব জানান, বড়দিনের বন্ধ থাকায় সোমবার সকাল থেকেই পার্কে পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। দুপুর পর্যন্ত এক হিসেবে দেখা গেছে ১০-১২ হাজারের মত পর্যটক পার্কে এসেছেন। তিনি জানান, কোর সাফারি পার্কে শিশু ও শিক্ষার্থী তথা অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য প্রবেশ ফি হলো ৫০টাকা। তবে তাদের কাছ থেকে ১০০টাকা করে নেয়ার বিষয়টি তার নলেজে নেই। এ ব্যাপারে তিনি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন জানিয়েছে।