সুনামগঞ্জের দিরাই পৌরসভায় ঘরে ঢুকে ছুরিকাঘাত করে স্কুলছাত্রী হুমায়রা আক্তার মুন্নীকে হত্যার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি ইয়াহিয়া সর্দারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার গভীর রাতে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাবিবুল্লাহর নেতৃত্বে পুলিশের তিনটি দল সিলেট নগরীর মাসুদপুর বাজারের দর্শা এলাকার একটি বাসা থেকে ইয়াহিয়া সর্দারকে গ্রেপ্তার করে। পরে আজ বৃহস্পতিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
এ সময় পুলিশ সুপার (এসপি) মো. বরকতুল্লাহ খান জানান, প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তাঁরা ইয়াহিয়ার অবস্থান নির্ণয় করতে সক্ষম হন। ঘটনার পরই তিনি সিলেট, ঢাকা, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করেছিলেন। পরে গতকাল রাত ১টার দিকে সিলেটের জালালাবাদ থানার মাসুদপুর বাজারের দর্শা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার আরো দাবি করেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াহিয়া ঘটনা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ওই দিন ছুরি দিয়ে নিজের হাত কেটে মুন্নীকে দেখানোর পরও সে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হয়নি। এরপরই মূলত ক্ষুব্ধ হয়ে মুন্নীকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেই ওই বাড়ি থেকে চলে যান।’
এ ঘটনায় গত সোমবার পৌর সদরের কলেজ রোডে অভিযান চালিয়ে এজহারভুক্ত আরেক আসামি তানভীর আহমদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ১৬ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে দিরাইয়ের মাদানী মহল্লার বাড়িতে মুন্নীর ঘরে ঢুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান ইয়াহিয়া। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যায় মুন্নী।