মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভে ফের গুলি চালানো হয়েছে। এতে চারজন সাধারণ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী ফিলিস্তিনিদের ওপর পৃথক পৃথক হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে-সমাবেশে ইসরায়েলের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাধা দেয় এবং হামলা চালায়। আটক করা হয় বহু মানুষকে।
প্রতিবাদকারীরা পশ্চিম তীরে জড়ো হয়েছিলেন। সেখানেই এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে বলে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৮২ জন; যাদের পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। জেরুজালেম ইস্যুতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় এখন পর্যন্ত অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়েছে। অনেকে হাসপাতালে ভর্তি।পবিত্র জেরুজালেম নগরীকে গত ০৬ ডিসেম্বর (বুধবার) ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একতরফা এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার ক্ষেত্রে তিনি জাতিসংঘ, আরব ও মুসলমান-অধ্যুষিত দেশ, এমনকি মার্কিন মিত্রদের আপত্তিও মানেননি। যা তার একগুঁয়েমি সিদ্ধান্ত। ইসরায়েলের তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়া হবে বলেও ট্রাম্প জানান। এরপর পুরো মুসলিম বিশ্বে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদ জানানো হয় অন্য দেশ থেকেও।
ট্রাম্পের ঘোষণায় উদ্বেগ জানায় মিত্রদেশ যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। উত্তেজনা বাড়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করে চীন। মধ্যপ্রাচ্যের শান্তিপ্রক্রিয়া-বিষয়ক জাতিসংঘের দূত নিকোলে ম্লাদেনোভ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এ বিষয়টির সুরাহা করতে হবে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে। ঘোষণা দিয়ে নয়। গত ১৩ ডিসেম্বর (বুধবার) তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে ইসলামী দেশগুলোর জোটের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের ওআইসি (ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা) বিশেষ সম্মেলনে যৌথ ঘোষণায় পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানীর ঘোষণা আসে। যা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিপরীতে নেওয়া। পৃথিবীর অন্যতম পবিত্র নগরীর মর্যাদা রয়েছে জেরুজালেমের। ছোট্ট একটি শহরকে ঘিরে তিন ধর্মের মানুষের আবেগ, স্মৃতি এবং ঐতিহ্য জড়িত।