জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির সংগঠকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ (এসএজি)। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিটিটিসির প্রধান মনিরুল ইসলাম। তিনি জানান, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মহাখালী এলাকায় পরিচালিত বিশেষ অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন জেএমবির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আবদুস সামাদ ওরফে আরিফ মামু ওরফে আশিক এবং তাঁর দুই সহযোগী জিয়াদুল ইসলাম ও আজিজুল ইসলাম ওরফে মেহেদী হাসান ওরফে শিশির।

আবদুস সামাদের বাড়ি দিনাজপুর জেলায় এবং জিয়াদুল ও আজিজুল ইসলামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। জিয়াদুল আবদুস সামাদের শ্বশুর। মনিরুল জানান, এঁদের মধ্যে আরিফ মামু ২০১৪ সালে তামিম চৌধুরীর সঙ্গে মিলিত হয়ে ‘জুনদ আল তাওহীদ আল খিলাফাহ’ নামক একটি দল গঠন করেন। ওই দলের প্রধান ছিলেন তামিম চৌধুরী। আর আরিফ মামু ছিলেন সেকেন্ড ইন কমান্ড। পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারের সময় তাঁদের কাছ থেকে ২০০টি ডেটোনেটর, একটি ৯ এমএম পিস্তল ও পাঁচটি গুলি উদ্ধার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আবদুস সামাদ ওরফে আরিফ মামু ২০১০ সালে প্রথম জেএমবিতে যোগ দেন। তিনি দলের জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া, সদস্য সংগ্রহ, অর্থ সংগ্রহ, বোমা তৈরিসহ নানাবিধ কাজে পারদর্শী। এ ছাড়া তিনি অস্ত্র চালানো এবং গ্রেনেড বিস্ফোরণের বিষয়ে নবীন সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতেন।

আরো বলা হয়, রাজধানীর কল্যাণপুর ও মিরপুর এলাকায় তামিম চৌধুরীসহ আবদুস সামাদ অবস্থান করে বেশ কিছু প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। হাতকাটা মাহফুজ গ্রেপ্তার হওয়ার পর তিনি দীর্ঘদিন পলাতক থেকে দলের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। জিয়াদুল চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকার সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র, বিস্ফোরক, ডেটোনেটর গ্রহণ, সংরক্ষণ এবং বিতরণের দায়িত্ব পালন করতেন।