“মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য” সেটাই প্রমাণ করলেন রুপালী ব্যাংকের এম,ডি আতাউর রহমান প্রধান।
“হাতীবান্ধায় ত্রাণ আনতে গিয়ে প্রাণ গেল সন্তানের” শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদন দেখে অসহায় সেই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে রুপালী ব্যাংকের ওই এম,ডি। শনিবার বিকেলে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা প্রেসক্লাবে নিহত জান্নাতির মা জাহানারা বেগমের হাতে প্রায় ৪০ হাজার টাকা মুল্যের দুটি গরুর বাছুর তুলে দেয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন হাতীবান্ধার ইউএনও আমিনুল ইসলাম, আলিমুদ্দিন ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ সরওয়ার হায়াত খান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ, রুপালী ব্যাংকের এম,ডি আতাউর রহমানের বোন জামাই আহসান হাবিব মোস্তাজীর, প্রেসক্লাব সভাপতি ইলিয়াস বসুনীয় পবন, সম্পাদক নূরল হক, যুগান্তরের লালমনিরহাট প্রতিনিধি মিজানুর রহমান দুলালসহ স্থানীয় সংবাদকর্মীরা। চলতি বছর ২৫ আগষ্ট উপজেলার মিলন বাজার এলাকায় রুপালী ব্যাংকের এম,ডি আতাউর রহমানের উদ্যোগে লালমনিরহাট জেলা সমিতির মাধ্যমে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এতে নিজ বাড়িতে শিশু সন্তান রেখে প্রায় চার কিলোমিটার দূর গিয়ে ত্রাণ নেন মধ্য গড্ডিমারী এলাকার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ জাহানারা বেগম। কিন্তু ওই ত্রাণ নিয়ে বাড়ি ফিরে তার শিশু সন্তান জান্নাতির লাশ বন্যার পানিতে ভাসছে দেখে বুক ফাটা কান্নায় ভেঙে পড়েন জাহানারা। এনিয়ে ২৭ আগস্ট দৈনিক যুগান্তরের দ্বিতীয় পাতায় ‘হাতীবান্ধায় ত্রাণ আনতে গিয়ে প্রাণ গেল সন্তানের’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন দেখে রুপালী ব্যাংকের এম,ডি আতাউর রহমান প্রধান যুগান্তরের লালমনিরহাট প্রতিনিধি মিজানুর রহমান দুলালের সাথে যোগাযোগ করে নিহত জান্নাতির পরিবারকে ব্যক্তিগতভাবে সাহায্যের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এরই প্রেক্ষিতে শনিবার বিকেলে হাতীবান্ধা প্রেসক্লাবে জাহানারা বেগমের হাতে দুটি গরুর বাছুর তুলে দেয়া হয়।
ওই গরু পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন জাহানারা বেগম। তিনি বলেন, ‘সন্তান হারানোর শোক যেমন কোন দিনই ভোলার মত নয়, তেমনি দৈনিক যুগান্তরের অবদানও কোন দিন ভুলবো না।” এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘যুগান্তরের ওই প্রতিবেদন দেখে হাতীবান্ধা উপজেলা ত্রাণ অফিস থেকে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ি-ঘর নির্মাণের জন্য তিন বান্ডিল টিন ও নগদ টাকা দিয়েছে। আজ রুপালী ব্যাংকের এম,ডি আতাউর রহমান প্রধান যেভাবে তার পাশে দাঁড়িয়েছে তাতে করে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে রুপালী ব্যাংকের এম,ডি আতাউর রহমান প্রধান মুঠোফোনে বলেন, ‘যুগান্তরের ওই খবরটি আমাকে নাড়া দিয়েছে। আজ ব্যক্তিগতভাবে ওই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’