ক্রিস গেইল একাই শেষ করে দিলেন খুলনা টাইটানসকে। টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংয়ের অর্থ বুঝিয়ে চেনা রূপে হাজির হলেন তিনি মিরপুরে। যাতে নিজে তুলে নিলেন সেঞ্চুরি, আর টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় করে দিলেন খুলনাকে। বিপরীতে তার হার না মানা ১২৬ রানের ইনিংসের ওপর ভর দিয়ে ৮ উইকেটের বড় জয়ে ফাইনালের স্বপ্ন বেঁচে থাকলো রংপুর রাইডার্সের।
হারলেই বিদায়, এমন সমীকরণ সামনে রেখে এলিমিনেটর ম্যাচে নেমেছিল খুলনা ও রংপুর। বাঁচা-মরার এই ম্যাচে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনা ৬ উইকেটে স্কোরে জমা করে ১৬৭ রান। এই লক্ষ্যটা ২৮ বল আগেই মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে পেরিয়ে যায় রংপুর। এখন মাশরাফি বিন মুর্তজারা খেলবে কোয়ালিফায়ার ম্যাচ। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হবে প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে মুখোমুখি হওয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স-ঢাকা ডায়নামাইটসের মধ্যে হেরে যাওয়া দল। সোহাগ গাজী ও ব্রেন্ডন ম্যাককালাম দ্রুত ফিরে গেলে খুলনার জয় দেখতে শুরু করেছিল খুলনা। কিন্তু গেইলের দিনে যে সব কিছু পাল্টে যায়, সেটা মিরপুরের ম্যাচ দিয়ে ক্রিকেট বিশ্ব দেখতে পেল আরেকবার। কী অসাধারণ সব শট, উড়ে উড়ে বারবার পড়ছিল সীমানার বাইরে। ছক্কাই মেরেছেন তিনি ১৪টি! সোজা কথায় খুলনার বোলারদের নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলায় মেতেছিলেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং দানব। শেষ পর্যন্ত তাকে আউটও তো করতে পারেনি খুলনা। টর্নেডো ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন ১২৬ রানে। বল খেলেছেন কয়টি জানেন? মাত্র ৫১টি! ৬ চার ও ১৪ ছক্কায় তার খেলা ইনিংসটি আবার বিপিএলের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। গেইলের সঙ্গে ম্যাচ শেষ করা মোহাম্মদ মিথুন ৩৬ বলে অপরাজিত ছিলেন ৩০ রানে।
শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না রংপুরের। আবারও ব্যর্থ হলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। মুখোমুখি হওয়া নিজের দ্বিতীয় বলেই প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন রংপুর রাইডার্সের এই ব্যাটসম্যান। তার আগে সোহাগ গাজীর উইকেট হারানো রংপুরকে এগিয়ে নিয়েছেন অবশ্য ক্রিস গেইল। মিরপুরে ঝড় তুলে পেয়েছেন সেঞ্চুরি। সোহাগ গাজীকে ওপেনিংয়ে নামিয়ে চমক দেয় রংপুর রাইডার্স। ক্রিস গেইলের বিপক্ষে স্পিন আক্রমণ দিয়ে খুলনা টাইটানস শুরু করবে ভেবেই হয়তো রংপুরের এই পরিকল্পনা। ব্যাটিং অর্ডারে উপরে সুযোগ পাওয়া গাজী অবশ্য কিছু করতে পারেননি, জোফরা আর্চারের বলে ১ রান করে বোল্ড হয়ে ফেরেন এই স্পিনার।তার আউটের পর নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামেন ম্যাককালাম। মিরপুরে আরেকবার গেইল-ম্যাককালাম জুটির ঝড় দেখার অপেক্ষায় দর্শকরা থাকলেও সেটা হয়নি। ম্যাককালাম দাঁড়াতেই পারেননি ক্রিজে। মুখোমুখি হওয়া নিজের দ্বিতীয় বলে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। কিউই ব্যাটসম্যানকেও ফেরান জোফরা।