নওগাঁর সুস্বাদু প্যারা সন্দেশের রয়েছে শত বছরের সুখ্যাতি। রসনাবিলাস এই প্যাড়া সন্দেশের জনপ্রিয়তা এখন বাংলাদেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে।পার্শ্ববর্তী ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশের ক্রেতারা এখানকার প্যাড়া সন্দেশ নিয়ে যাচ্ছেন। প্রতি কেজি প্যাড়া সন্দেশের দাম ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকা। ঠিক কখন থেকে নওগাঁয় প্যাড়া সন্দেশ তৈরি শুরু হয়েছে তা জানা না গেলেও কারিগরদের ধারণা, শত বছর আগে থেকেই এখানে প্যারা সন্দেশ তৈরি হয়ে আসছে। প্রথমদিকে এই প্যাড়া সন্দেশ বিভিন্ন পূজামন্ডপের দেব-দেবীর উপাসনার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হতো বলে জানা যায়। এখন এটি বাড়িতে বাড়িতে অতিথি আপ্যায়ন, আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে উপঢৌকন হিসেবে মর্যাদার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।নওগাঁর মিষ্টান্ন জগতের একটি বড় জায়গা দখল করতে সক্ষম হয়েছে এই প্যারা সন্দেশ। নওগাঁ শহরের মিষ্টির কারিগররা জানিয়েছেন, শহরের কালীতলা পূজামন্ডপের প্রধান গেট সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে ছোট ছোট কয়েকটি মিষ্টির দোকান। এগুলোকে বলা হয় ভোগের দোকান। এসব দোকান থেকে প্যারা সন্দেশ কিনে পূজারীরা বিভিন্ন মন্ডপে দেবীর ভোগ দিয়ে থাকেন। কিন্তু পরে এই সন্দেশ শুধু দেবীর ভোগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। সুস্বাদু আর পুষ্টিগুণের কারণে এই সন্দেশ হয়ে উঠেছে এলাকার বিখ্যাত মিষ্টান্ন।জনশ্রুতি আছে, নওগাঁ শহরের কালীতলার মহেন্দ্র দাস নামে এক ব্যক্তি প্রথমে প্যারা সন্দেশ তৈরি শুরু করেন। পরে তার ছেলে ধীরেন্দ্রনাথ দাস দোকানের দায়িত্ব পান। সেই সময় বিমল মহন্ত নামে মিষ্টি তৈরির এক কারিগরের হাতের জাদুস্পর্শে প্যারা সন্দেশের সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। ধীরেন্দ্রনাথ দাস প্রায় ৩০ বছর ব্যবসার পর দোকানটি সুরেশ চন্দ্র মহন্তের কাছে বিক্রি করে দিয়ে অন্যত্র চলে যান।এরপর সুরেশ চন্দ্র মহন্ত দোকানে নতুন মিষ্টির কারিগর নারায়ণ চন্দ্র প্রামাণিককে আনেন। নারায়ণ সেই থেকে প্যারা সন্দেশ তৈরি করে আসছেন। শহরের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি ব্যবসায়ী মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী নাজমুল হক জানান, প্যারা সন্দেশ তৈরির প্রথম ধাপে তরল দুধের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে তৈরি করা হয় ক্ষীর। যখন হাতায় জড়িয়ে আসে তখন উষ্ণ ক্ষীর দুই হাতের তালু দিয়ে রোল করে সামান্য চাপ দিলেই তৈরি হয়ে যায় হালকা খয়েরি রঙের প্যাড়া সন্দেশ।প্রতিটি প্যারা সন্দেশ প্রায় আধা ইঞ্চি চওড়া ও দুই ইঞ্চি লম্বা। এক কেজি সন্দেশ তৈরি করতে দরকার হয় সাত লিটার তরল দুধ। দুধ আর চিনি ছাড়া অন্য কোনো উপকরণ না থাকায় এই সন্দেশ স্বাভাবিকভাবে রাখা যায় ১০ থেকে ১৫ দিন। আর কৃত্রিম উপায়ে ভালো রাখা যায় এক মাসেরও বেশি সময়। এজন্য বিদেশ থেকে যারা আসেন বা যারা বিদেশে বেড়াতে যান তারা সুস্বাদু প্যারা সন্দেশ নিয়ে যেতে ভোলেন না।
নওগাঁর বিখ্যাত প্যারা সন্দেশের স্বাদ দেশ পেরিয়ে যাচ্ছে বিদেশে
সাম্প্রতিক
বার্তা-মঞ্চ
ইউআইইউ-তে আধুনিক সোলার ল্যাব উদ্বোধন করলো হুয়াওয়ে
বাংলাদেশ সৌরশক্তি খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এর ফলে দেশে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের ব্যাপক সম্ভাবনা সৃষ্টি হচ্ছে। এই চাহিদা বিবেচনা করে হুয়াওয়ে এবং ইউনাইটেড...
গাজীপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে দিনব্যাপী এসওএসবি’র সাইন্টিফিক সেমিনার
গাজীপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে সার্জারী ডাক্তারদের বড় সংগঠন সোসাইটি অব সার্জনস অব বাংলাদেশের (এসওএসবি) সাইন্টিফিক সেমিনার। শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত গাজীপুরে শহীদ...
পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে রিয়্যাক্টর এসেম্বলির কাজ সম্পন্ন
বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাবার চূড়ান্ত প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে আরেক ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। ইউনিটটিতে রিয়্যাক্টর এসেম্বলির কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। পরবর্তী...
দশটি খাতে ইন্টেলিজেন্ট সল্যুশন ও ফ্ল্যাগশিপ পণ্য উন্মোচন করলো হুয়াওয়ে
সম্প্রতি দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্বের অন্যতম প্রযুক্তি প্রদর্শনী ‘জিটেক্স গ্লোবাল ২০২৪’ প্রদর্শনীতে হুয়াওয়ে এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে সম্মিলিতভাবে পাবলিক ইউটিলিটি, পরিবহন, আর্থিক সেবা, বৈদ্যুৎ, তেল,...
শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিনিময় করবে পাবিপ্রবি ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল আওয়াল এর সাথে গতকাল রবিবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড....