পাকিস্তানের পেশোয়ারের একটি কলেজে তালেবান বন্দুকধারীদের হামলায় নয়জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩৫ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার সকালে পেশোয়ারের কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে তিনজন বন্দুকধারী ঢুকে এ ঘটনা ঘটায়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দুই ঘণ্টা ধরে চলা অভিযানের সময় গুলিতে হামলাকারী সবাই নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনা কর্তৃপক্ষ। হতাহত ব্যক্তিদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। পেশোয়ারের পুলিশ প্রধান মুহাম্মদ তাহির খান বলেন, বন্দুকধারীরা বোরকা পরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকেছে। ক্যাম্পাসে ঢোকার আগেই তারা ফটকে থাকা নিরাপত্তাকর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে ওই নিরাপত্তাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন।প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের তালেবান এ ঘটনার দায় স্বীকার করে একটি বিবৃতি দিয়েছে। তালেবানের মুখপাত্র মোহাম্মদ খোরাসানি ওই বিবৃতিতে বলেন, পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সকে (আইএসআই) লক্ষ্য করে ওই হামলা চালিয়েছে।তালেবান বন্দুকধারীদের হামলার পর পেশোয়ারের কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে অভিযানে সেনা সদস্যরা। ১ ডিসেম্বর, পেশোয়ার। ছবি: এএফপিকৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের আহত শিক্ষার্থী এহতেসান উল-হক বলেন, ‘কলেজের ছাত্রাবাসে প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী থাকে। তবে লম্বা ছুটি পাওয়ায় অনেকেই বাড়ি চলে গেছেন। এখন ১২০ জনের মতো ছাত্র আছেন। আজ সকালে হঠাৎ মুহুর্মুহু গুলির শব্দে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে উঠে দেখি সবাই দৌড়াচ্ছে আর তালেবান হামলা করেছে” বলে চিৎকার করছে।হায়াতাবাদ মেডিকেল কমপ্লেক্সের পরিচালক শেহজাদ আকবর বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসা আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৮ জনের চিকিৎসা চলছে। খাইবার টিচিং হাসপাতালের পরিচালক নেকদাদ আফ্রিদি বলেন, সেখানে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ১৭ জনের চিকিৎসা চলছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পেশোয়ারের আর্মি পাবলিক স্কুলে তালেবান বন্দুকধারীদের হামলায় ১৩৪ জন শিশু শিক্ষার্থী নিহত হয়েছিল।