বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও মাসব্যাপী ধারাবাহিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতি আজ থেকে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর পালন করবে।শুক্রবার থেকে ৪৬ বছর আগে বাংলাদেশ পাকিস্তানী হানাদারবাহিনীর সঙ্গে নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ করে ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগ ও ৫ লাখ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করে।
চলতি বছর গত ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় এ বছরের বিজয়ের মাসকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে পালন করবে।বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনসমূহ তাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অর্জিত জাতির এই মহান বিজয়কে স্বাগত জানাতে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।রাজধানীর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্প স্তবক অর্পণ, র‌্যালি, আলোচনা, চিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ‘সেক্টর কমান্ডার ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ৭১’- ১ ডিসেম্বরকে ‘ফ্রিডম ফাইটার ডে’ হিসেবে উদ্যাপন করছে।সংগঠনটি রাজধানীর মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী সৌধে এক অনুৃষ্ঠান আয়োজন করেছে।মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর বিজয়ের মাসটিকে স্বাগত জানাতে ১০ থেকে ১৬ ডিসেম্বর সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এসব অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে নাচ, গান, নাটক, থিয়েটার কবিতা আবৃত্তি, লোকগীতি পরিবেশন, র‌্যালি, পথ নাটক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের অনুপ্রেরণামূলক অনুষ্ঠান ও তরুণদের জন্য মানবাধিকার বিষয়ক বক্তৃতা।জাদুঘর মিরপুর ১০ নম্বরের জল্লাদখানা হত্যা স্মৃতি মাঠে ১৪ থেকে ১৬ ডিসেম্বর ৩ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
৩ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বেলা ১১টায় এক আনন্দ র‌্যালি বের করবে। র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলা থেকে শুরু হয়ে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা চত্বরে এসে শেষ হবে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান এ র‌্যালীর নেতৃত্ব দিবেন।পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গিত বিভাগ স্বাধীনতা চত্বরে স্বাধীনতার গান গেয়ে শোনাবে।১৪ ডিসেম্বর জাতি শহীদ বুদ্ধিজীবী যারা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশেষত ২৫ মার্চ ও ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে মর্মান্তিকভাবে আত্মাহুতি দেন তাদের মহান স্মৃতি স্মরণে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করবে।১৬ ডিসেম্বর ৪৬তম মহান বিজয় দিবস। পাকিস্তানী শাসকদের দুঃশাসনের বিনেিদ্ধ বীর শহীদদের গভীর আত্মত্যাগের বিনিময়ে জাতি মহান স্বাধীনতা অর্জন করে। তাদের স্মৃতির প্রতি প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিয়ে পালিত হবে এই দিনটি।১৯৭১-এর এই দিনে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর কমান্ডার এএকে নিয়াজি ৯৩ হাজার সৈন্যসহ ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান) ২৫ মার্চ থেকে শুরু হওয়া মুক্তিযুদ্ধে শোচনীয় পরাজয় মেনে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে।