ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শুক্রবার বিকালে তিনি বারিধারায় ভ্যাটিকান দূতাবাসে গিয়ে পোপের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।জাতিক জনকের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও পুত্রবধু পেপ্পি সিদ্দিক এ সময় বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে ছিলেন।ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রপ্রধান পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে সাক্ষাতকালে শেখ হাসিনা তাকে স্যুভেনির হিসেবে একটি নৌকা উপহার দেন।এর আগে সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রায় আশি হাজার ভক্তের অংশগ্রহণে এক প্রার্থনাসভায় পৌরহিত্য করেন পোপ।

বিকালে তিনি কাকরাইলের রমনা ক্যাথেড্রালে যান এবং আর্চবিশপ হাউজে বিশপদের সঙ্গে বৈঠক করেন। একই স্থানে তিনি একটি আন্তঃধর্মীয় সভায় অংশ নেন।তিন দিনের সফরে বৃহস্পতিবার বিকালে মিয়ানমার থেকে ঢাকা পৌঁছান পোপ ফ্রান্সিস। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।বিকালে তিনি বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন। পরে বঙ্গভবনের দরবার হলে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও কূটনীতিকদের উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।সফরের শেষ দিন শনিবার সকালে তেজগাঁওয়ে মাদার টেরিজা হাউজ পরিদর্শনে যাবেন পোপ। এরপর তেজগাঁও হলি রোজারিও চার্চে খ্রিস্টান যাজক, ধর্মগুরু ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে চার্চের কবরস্থান পরিদর্শন করবেন। দুপুরের পর ঢাকায় নটরডেম কলেজে তরুণদের সঙ্গে মতবিনিময়ও করবেন।সফরের ইতি টেনে বিকাল ৫টায় শাহজালাল বিমানবন্দর ছাড়বেন ক্যাথলিক ধর্মগুরু। তাকে বিদায় জানাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।২০১৩ সালের ১৩ মার্চ ভ্যাটিকানের ২৬৬তম পোপ নির্বাচিত হন ফ্রান্সিস। রোমের বিশপ হিসেবে তিনি বিশ্বব্যাপী ক্যাথলিক চার্চ এবং সার্বভৌম ভ্যাটিকান সিটির প্রধান। .এদিকে, রোহিঙ্গাদের উদ্দেশ্যে ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন, ‘তোমাদের কষ্ট দেখে আমাদের প্রশান্তি বিঘিœত হয়। আমরা সবাই শান্তি চাই। যেখানে মন্দ রয়েছে, সেখানেই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছি আমরা।’ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর আর্চ বিশপ মাঠে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন। এর আগে রাখাইন থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের তিনটি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন পোপ ফ্রান্সিস। পরিবার তিনটিকে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। বক্তব্যে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার না করলেও বক্তব্যে পোপ ফ্রান্সিস বলেন, বাংলাদেশের অনেকে বলেছেন তোমাদের (রোহিঙ্গা) দুঃখের কথা। এখন সাহায্য করা দরকার। আমরা তোমাদের অধিকার রক্ষায় অব্যাহকভাবে কাজ করে যাবো ।