শনিবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস।জাতীয়ভাবে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যদা ও ভাবগাম্ভির্যের মধ্যদিয়ে এ দিবসটি পালিত হবে।পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে রাষ্টপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।এছাড়াও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ পৃথক বাণী দিয়েছেন।পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পক্ষকালব্যাপি অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়েছে।ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান শনিবার বাদ আসর বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে প্রধান অতিথি হিসেবে এ অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন।ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুন এ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল। উদ্বোধন শেষে বাদ মাগরিব ওয়াজ করেন তেজগঁস্থ মদীনাতুল উলুম কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক আল আযহারী।
ইফা’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঈদে মিলাদুন্নবীর অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে, আজ শুক্রবার থেকে ১৫ ডিসেম্বর’১৭ পর্যন্ত প্রতিদিন বাদ মাগরিব বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিল। দেশবরেণ্য পীর-মাশায়েখ ও ওলামায়ে কেরামগণ উক্ত মাহফিলে বয়ান করবেন।এ ছাড়াও বাংলাদেশ বেতারের সাথে যৌথ প্রযোজনায় ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপি মহানবী (সা.) জীবন ও কর্মের ওপর সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মুকাররম মিলনায়তনে বাদ আসর অনুষ্ঠিতব্য সেমিনার রেকর্ডিং করে বাংলাদেশ বেতারের এফ, এম, ১০৬ মেগাহার্টজে প্রতিদিন রাত সোয়া ১০টায় প্রচার করা হবে।পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিয়ায় বাদ জোহর আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।