পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ ও বীট কর্মকর্তা আবুল কালাম ইসার বিরুদ্ধে সরকারী টাকা আত্মাসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। জনগনের টাকায় বপনকৃত গাছ দেখিয়ে সামাজিক বনায়নের বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাতের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ভূক্তভোগীরা জানান, উপজেলার নলখোলা বন্দর থেকে রণগোপালদী ১৪ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ৪কিলোমিটার সড়কের দু’পাশে সামাজিক বনায়নের কার্যক্রম জনগণের টাকায় বাস্তবায়ন করা হয়েছে। উপজেলা বন বিভাগ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে সৃজিত এ বাগানের বৃক্ষরোপনে এই প্রথম বিনিয়োগ করল ভূক্তভোগীরা। অথচ ২০১৪ সালের দিকে লক্ষীপুর কাসেম জোমাদ্দার বাড়ি হইতে কাপুরিয়া কাছারী পর্যন্ত ২কিলোমিটার সড়কের সুবিধাভোগী ১৪জন সদস্য সড়কে গাছ লাগানোর জন্য ৫হাজার ৫০০শত টাকা করে সর্বমোট ৭৭হাজার টাকা এবং কাপুরিয়া কাচাঁরী থেকে আরজবেগী বাজার পর্যন্ত ২কিলোমিটার সড়কের সুবিধাভোগী ৪০জন সদস্য গাছ লাগানোর জন্য জনপ্রতি ১হাজার টাকা করে ৪০হাজার টাকাসহ সর্ব মোট ১লক্ষ ১৭ হাজার টাকা দিয়ে এই ৪ কিলোমিটার সড়কে বৃক্ষ রোপন করেছি এবং আমরা সবাই মিলে সৃজিত উক্ত বাগান রক্ষনাবেক্ষন করে আসছি। কিন্তু উপজেলা বন কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ ও বীট কর্মকর্তা আবুল কালাম ইসা তার সাঙ্গপাঙ্গসহ কতিপয় দুস্কৃতিকারীদেরকে সাথে নিয়ে আমাদের টাকায় লাগানো গাছ নিয়ে প্রশাসনিক প্রভাব, খামখেয়ালীপনা এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসছে। আমাদের বপনকৃত গাছ দেখিয়ে সরকারী টাকা আত্মাসাৎ করতে মেতে উঠেছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ৩৬জন সুবিধাভোগীরা স্বাক্ষরিত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে গত ২৮/০৭/২০১৭ইং তারিখে একটি লিখিত অভিযোগ দালিখ করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ৭দিনের মধ্যে সরজমিনে তদন্তপূর্বক ওই বন কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ করলেও তা তোয়ক্কা করেননি বন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ। ফলে এলাকাবাসীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সরেজমিন তদন্তপূর্বক দুস্কৃতিকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য সুদৃষ্টি কামনা করছে। এ বিষয়ে বন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, আমি এলাকায় তদন্তের জন্য দুই দিন গিয়েছি, কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করিনি। অর্থ আত্মসসাতের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, এলাকায় অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে তা আমি শুনেছি।