সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, সন্ত্রাস পুরোপুরি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত দুই বছর আগে গঠিত সামরিক জোট সন্ত্রাস দমনে কাজ চালিয়ে যাবে। বোরবার এ জোটের প্রথম সভা শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।আইএস দমনে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে নাÑএমন সমালোচনার মুখে ২০১৫ সালে সৌদি নেতৃত্বাধীন ইসলামিক মিলিটারি কাউন্টার টেররিজম কোয়ালিশন (আইএমসিটিসি) প্রতিষ্ঠিত হয়।
মিসরে নর্থ সিনাই প্রদেশে ২৪ নভেম্বর জনাকীর্ণ একটি সুফি মসজিদে মারাত্মক হামলায় ৩০০ মানুষ নিহত হওয়ার পর রোববার ওই কোয়ালিশন গ্র“পের প্রথম সভা হয়।সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের ওই সভায় সৌদি যুবরাজ বলেন, ‘অতীতের দিনগুলোতে ঘটনা মনে করে মিসরে আমার ভাইদের জন্য আমার সহানুভূতি জানাচ্ছি।ওই গ্র“পের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমাদের শান্তির ধর্মকে বিকৃত করার কোনো সুযোগ সন্ত্রাসীদের দেব না। আমরা আজ শক্তিশালী বার্তা পাঠাব যে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। সন্ত্রাস পুরোপুরি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার দৃঢ় প্রত্যয় জানাচ্ছি।এই সামরিক জোটে ৪০টি সদস্য দেশ। তবে ইরান এ জোটে নেই। সম্প্রতি সৌদির পক্ষ থেকে আঞ্চলিক দেশগুলোর জন্য ইতিবাচক বৈদেশিক নীতি নেওয়া হয়েছে। ইয়েমেনে সামরিক কর্মসূচি জোরদার করা হয়েছে এবং ইরান সমর্থিত হিজবুল্লার বিরুদ্ধেও অবস্থান জোরদার করা হয়েছে।
এ জোটের অংশ হলেও কাতার সভায় উপস্থিত ছিল না। আইএমসিটিসির মহাসচিব জেনারেল আবদুল্লাহ আল-সালেহর বরেত বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ঐকমত্য গড়তে সভায় কাতারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কাতার সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করছেÑএ অজুহাতে গত জুন মাসে সৌদি নেতৃত্বাধীন দেশগুলো কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করে। কাতার ওই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে। তথ্যসূত্র: সিএনএন।