বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে দূরে রাখা হয়েছিল। কিন্তু এবার যতই ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি। বিএনপিকে বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে ‘জনপ্রিয়’ দল দাবি করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এতে সরকার বেসামাল হয়ে পড়েছে।মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।তিনি বলেন, সরকার আবারও ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন করে গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে চাইছে। কিন্তু জনগণ এবার রাস্তায় নেমে তাদের ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকার উদ্ধার করবে। খালেদা জিয়া ছাড়া দেশে আর কোনও নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া যাবে না। আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন,‘আওয়ামী লীগ সরকার অনেকবার বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা করেছে। ১/১১-তে তারেক রহমানকে জেলে ঢুকিয়ে রিমান্ডের নামে তার মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছে। খালেদা জিয়াকে জেলে নিয়ে বিএনপিকে দুর্বল করার চেষ্টা করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় সরকার ও তার মন্ত্রীরা খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চাচ্ছে। তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে দিচ্ছে না। এভাবে বিএনপিকে রাজনীতি শূন্য করার চেষ্টা করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। রোহিঙ্গাদের দেখতে কক্সবাজারের উদ্দেশে যাত্রাপথে এবং ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের পক্ষে জন¯্রােত হয়েছে দাবি করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, বিএনপির পক্ষে যে জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, এই জোয়ার কেউ বন্ধ করতে পারবে না।এই গণজোয়ারে আওয়ামী লীগ দিশেহারা, তারা নানা রকমের কথাবার্তা বলছে, তারা বেসমাল। আজকে তারা বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চায়।২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা কৌশল করে খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের বাইরে রেখেছিল অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, ২০১৪ সাল এবং আগামী একাদশ নির্বাচন এক নয়। পানি বাংলাদেশের নদীতে অনেক গড়িয়েছে। বেগম জিয়াকে ছাড়া আগামী নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না।
একাদশ নির্বাচন অবশ্যই ‘নিরপেক্ষ নির্দলীয়’ সরকারের অধীনে হতে হবে বলে দাবি জানিয়ে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ‘যথাসময়ে’নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেবেন বলে জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।তিনি বলেন, যত ষড়যন্ত্র করুক না কেন, আগামী দিনে সহায়ক নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এদেশের জাতীয়তাবাদী শক্তি নির্বাচনে যাবে এবং জনগণ জাতীয়তাবাদী শক্তিকে বিজয়ী করে দেখিয়ে দেবে।একইসঙ্গে ২০১৪ সালের মতো আগামী নির্বাচন ‘একতরফা’ করলে জনগণ ‘রাস্তায়’ নেমে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন খন্দকার মোশাররফ।মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের পরিচালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নুরী আরা সাফা, সহ স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আখতার, মহিলা দলের জেবা খান, হেলেন জেরিন খান, রাজীয়া আলীম, পেয়ারা মোস্তফা, মতিয়া চৌধুরী বেবী, নাজমা বেগম ও মর্জিনা আখতার বক্তব্য রাখেন।