যথাযোগ্য মর্যাদায় ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে কর্মসূচি প্রণয়ন এবং সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ১২ রবিউল আউয়াল (০২ ডিসেম্বর) ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় কর্মসূচি নির্ধারণ করা হয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সরকারি, আধা-সরকারি ভবন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও সশস্ত্র বাহিনীর সব স্থাপনায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন। জাতীয় পতাকা ও ‘কালিমা তায়্যিবা’ লিখিত ব্যানার ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক আইল্যান্ড ও লাইট পোস্টে প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া ওই রাতে সরকারি ভবন ও সামরিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হবে।এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং পক্ষকালব্যাপী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর জীবনীর উপর আলোচনা সভা ও মাহফিলসহ বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও সভায় সারাদেশে বিভাগ, জেলা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বেসরকারি সংস্থায় হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানের কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে দিবসটির যথাযোগ্য গুরুত্ব তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করা হবে। শিশু একাডেমি শিশুদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশু সদন, বৃদ্ধ নিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনগুলোতে যথাযথভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালন করা হবে। এ উপলক্ষে সারাদেশে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আনিছুর রহমান। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফয়েজ আহমেদ ভূঁইয়াসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।