ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের মাউন্ট আগুং আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত ঘটার আশঙ্কা করছে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বোর্ড। দেশটিতে ৫৪ বছর পর জেগে উঠেছে আগ্নেয়গিরি। এতে আগ্নেয়গিরির আশপাশের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিশাল এলাকাজুড়ে লোকজনকে সরে যেতে বলা হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সতর্কতা জারির পাশাপাশি একটি বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, কালো ধোঁয়া ও ছাই পর্বতচূড়া থেকে ৩ হাজার ৪০০ মিটার পর্যন্ত উঁচুতে উঠেছে। জ্বালামুখ থেকে আগুন বেরোচ্ছে। অগ্ন্যুৎপাতে নিক্ষিপ্ত পাথর থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বোড সতর্কতার মাত্রা চারে উন্নীত করে বলেছে, বড় ধরনের দুর্যোগের আশঙ্কা করছে তারা। আগ্নেয়গিরি থেকে ক্রমাগত ছাই বেরোচ্ছে। রাতে আগুনের শিখা দেখা যাচ্ছে। বড় ধরনের অগ্ন্যুৎপাত আসন্ন।অ্যাডিলেড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ববিদ মার্ক তিনগে জানান, আগ্নেয়গিরিটি অগ্ন্যুৎপাতের পরবর্তী ধাপে পৌঁছেছে। এর জ্বালামুখে লাভা দেখা যাচ্ছে। তবে কখন এর উদ্গিরণ শুরু হবে, এ বিষয়ে এখনই সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা মুশকিল। এটি ভয়াবহ ও ব্যাপক হতে পারে, আবার খুব ছোটখাটো কিছু হতে পারে।ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এরই মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি বলেও জানান তিনগে।গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে মাউন্ট আগুং নামের এই সুপ্ত আগ্নেয়গিরির জেগে ওঠার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছিল। ওই সময় থেকেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সতর্কতার সর্বোচ্চ মাত্রা জারি করেছিল। তখন প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে আগ্নেয়গিরির আশপাশের এলাকা থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেওয়া হয়।গত মঙ্গলবার আগ্নেয়গিরি থেকে আবার উদ্বেগজনক মাত্রায় ধোঁয়া ও ছাই উদ্গিরণ শুরু হয়। এ সময় ২৫ হাজার লোককে বাধ্যতামূলকভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়। আগ্নেয়গিরির সাড়ে সাত কিলোমিটার এলাকার মধ্যে বসবাসকারী মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার অনুরোধ করেছে কর্তৃপক্ষ। গতকালও মাউন্ট আগুং থেকে ধোঁয়া ও ছাই উদ্গিরণ হয়েছে।ইন্দোনেশিয়ায় বর্তমানে ১২০টিরও বেশি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এগুলোর একটি হলো মাউন্ট আগুং। ১৯৬৩ সালে এতে সর্বশেষ অগ্ন্যুৎপাতে প্রায় ১ হাজার ৬০০ মানুষের মৃত্যু হয়। তথ্যসূত্র: বিবিসি অনলাইন।