ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, সিটি করপোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স এক শতাংশও বাড়ানো হয়নি। ২৯ বছর আগে মানুষ যে হোল্ডিং ট্যাক্স দিতেন সেটা সমন্বয় করা হয়েছে। তারপরও যদি কোনো বাড়িওয়ালা বা নাগরিক সংক্ষুদ্ধ হন তাহলে আমরা আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করবো।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় দক্ষিণ সিটি করোপরেশের নগর ভবনে ই-ট্রেড লাইসেন্স ও ই-রেভিনিউ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সাঈদ খোকন বলেন, সিটি করপোরেশনের একেকটি এলাকায় একেক রকম ট্যাক্স ছিলো, সেটা এখন সমন্বয় করা হয়েছে মাত্র। তবে বাড়ানো হয়নি। তিনি বলেন, অভিযোগ আসছে যে অযৌক্তিকভাবে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কোনো প্রকারে হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি করেনি। আমরা ১২ শতাংশ ট্যাক্স আগে থেকে নিচ্ছি, এখনো নিচ্ছি। এমনকি ১১টি সিটি করপোরেশনের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের ট্যাক্সের হার সর্বনিম্ন। ট্যাক্সের হার কোথাও ১ শতাংশও বাড়ানো হয়নি।নগরবাসীর অভিযোগের বিষয়ে মেয়র বলেন, বলা হচ্ছে কারো কারো হোল্ডিং ট্যাক্স অনেকগুণ বেড়েছে। এসময় উদাহরণ টেনে বলেন, কেউ হয়তো ৫ হাজার টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স দিতেন, তার এখন আসছে ৪০ হাজার টাকা (নাগরিকদের অভিযোগ)। তিনি বলেন, ২৯ বছর পর আমরা ট্যাক্স ‘অ্যাসেসমেন্ট’ (সমন্বয়) করছি। ডিএসসিসিতে বসবাসকারী এমনও বাড়ি রয়েছে পাশাপাশি দুটি বাড়ি একই পরিমাপের একই তলা বিশিষ্ট অথচ তাদের কেউ হয়তো ২০ হাজার টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স দিচ্ছেন, কেউ হয়তো ২ হাজার টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স দিচ্ছেন। যিনি দুই হাজার টাকার হোল্ডিং ট্যাক্স দিচ্ছেন তার সমন্বয় হয়তো ২৮ বছরেও করা হয়নি। যিনি ২০ হাজার টাকা দিচ্ছেন তার সমন্বয় হয়তো ২০১৫ সালে করা হয়েছে। আমরা এই ট্যাক্স সমন্বয় সাধন করছি।
এদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকার প্রায় অর্ধশত অবৈধ স্থাপনা উচ্র্ছেদ করেছে।ঢাকা শহরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জন্য অধিগ্রহণকৃত এলাকায় বুধবার এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।কর্পোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে অঞ্চল-৪ এর নির্বাহী কর্মকর্তা ও সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তারা দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালনা করে।প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী বাসসকে জানান, অভিযানকালে লালবাগ শশ্মানঘাট মেটারনিটি হাসপাতাল থেকে লবণঘাট স্লুইসগেট পর্যন্ত এলাকার অবৈধ স্থাপনা উচেছদ করা হয়েছে। যতক্ষণ জঞ্জালমুক্ত না হবে ততক্ষণ এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।তিনি বলেন, ঢাকা নগরীকে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা ও শহর রক্ষা বাঁধকে নিরাপদ রাখার স্বার্থে এবং নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য সিটি কর্পোরেশন সকল অবৈধ স্থাপনা পর্যায়ক্রমে উ”েছদ করা হবে।তিনি বলেন, ডিএসসিসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের নির্দেশ রয়েছে অবৈধ স্থাপনার মালিক যত প্রভাবশালীই হোক, কোনো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ আওতার বাইরে থাকবে না।