রেস্টুরেন্টে ওয়েটার নয়, সরাসরি আসবে খাবার! ভাবছেন কিভাবে কারণ ‘রোবটিক রেস্টুরেন্ট এখন ঢাকায়।
বাংলাদেশের প্রথমবারের মতো রোবট রেষ্টুরেন্টের যাত্রা শুরু হয়েছে।এই রেষ্টুরেন্টে কোন মানুষ নয়, শুধুমাত্র রোবটই কাস্টমারদের খাবার সরবরাহ করবে। বুধবার রাজধানীঢাকার মিরপুর রোডে আসাদগেটের সন্নিকটে ফ্যামিলি ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টারে চালুকরাহয়েছে এ রোবট রেষ্টুরেন্টটি।এ উপলক্ষে রেষ্টুরেন্টটির নিজস্ব অডিটরিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় রেষ্টুরেন্টটির মালিক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আয়োজকরা বলেন,বাংলাদেশে এটিই এ ধরনের প্রথম রেষ্টুরেন্ট যেখানে রোবটের মাধ্যমে কাস্টমারদের খাবার সরবরাহ করা হবে। রোবট দিয়ে খাবার সরবরাহকরা এটি বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন মাইলফলক এব নতুন দিগন্তের সূচনা করল। শিশুদেও বিনোদন ও খাবারের বিষয়টি চিন্তা করেই এ ধরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে রেষ্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
রেষ্টুরেন্টটির পরিচালকরা হিনরাইয়া ননবী বলেন, অনেক সময় দেখা যায় যে ওয়েটাররা কয়েক ঘন্টা কাজ করার পর কান্ত হয়েপড়েন। সেই কান্ত অবস্থায়ই তারা কাস্টমারদেও খাবার সরবরাহ করতে বাধ্য হন। কিন্তু রোবট কখনোই কান্ত হবেনা। তাই যখন রোবট খাবার সরবরাহ করবে তখন এটি কাস্টমারকে আরও ভাল সেবা দিতে পারবে। সেটি সকল বয়সের মানুষের জন্য অত্যন্ত রোমাঞ্চকর পরিবেশও তৈরি করবে। বিশেষ কওে শিশুরা সবচেয়ে বেশি রোমাঞ্চিতহবে। পরিচালক আরো বলেন, একজন ওয়েটারের পক্ষে সব সময় খাবারের গুনগতমান নিশ্চিতকরা ও জীবানুমুক্ত থাকা সম্ভব হয়না। তাই আমরা রোবট দিয়ে এসব কাজ করাচ্ছি। রেষ্টুরেন্টটিতে প্রাথমিকভাবে দুইটি রোবট কাজ শুরু করবে।
শিশুদের জন্য বিশেষ কিছু খাবার থাকছে জানিয়ে রাহিনরাইয়ান আরও বলেন, আমরা খাবারের মান এবং পারিবারিক পরিবেশ অবশ্যই বজায় রাখব যাতেকওে পরিবারেরসদস্যদের নিয়ে যে কেউ এখানে খেতে আসতেপারেন।তিনি আরও বলেন, খাবারের দাম সাধ্যেও মধ্যেই রাখা হবে যাতে সকল শ্রেণির মানুষই বিরল এই অনুভূতি উপভোগ করতে পারেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ছিলেন তারাসবাই রোবটের কার্যক্রম প্রত্য করেন। উপস্থিত প্রায় সবার জন্যইএটি ছিল সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা। বাংলাদেশ ও চীন যৌথভাবে এ রেষ্টুরেন্টটি পরিচালনা করছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত এইচ জেড এক্স ইলেকট্রনিক টেকনোলজি কোম্পানি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাক্স সোয়াজ বাংলাদেশে রোবট ডিজিটালাইজেশনেরজন্য যে কোনসহযোগিতা করার জন্য সবসময় প্রস্তত রয়েছে বলেজানিয়েছেন। যে কারণে এ উদ্যোগ :রোবট রেষ্টুরেন্টটির চেয়ারম্যান আনোয়ার ননবী মজুমদারের দুই সন্তান তাসিনরওনাকনবীএবংরাহিনরাইয়াননবী উচ্চ শিারজন্য চীন সফওে যান। সেখানেগিয়েচীনের রোবট দ্বারা খাবার সরবরাহপদ্ধতি দেখে আকৃষ্ট হন।
তারা তখন সংশ্লিষ্ট রোবট কোম্পানির প্রধাননির্বাহীকর্মকর্তা ম্যাক্স সোয়ার্জ এর সাথে যোগাযোগ করেন এবং বাংলাদেশে রোবটরেষ্টুরেন্টের চালুর বিষয়ে আলোচনাকরেন। এরই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে চালুহলো রোবট রেষ্টুরেন্টের।সর্বসাধারণের সুবিধার্থে প্রাথমিক অবস্থায় আগামি এক মাসেরজন্য বাচ্চাদের কিডমিলএবং দেশীয়খাবারের সেটফুড পরিবেশ করা হবে। যার মূল্য ৫শ টাকার বেশি হবেনা।