চৌত্রিশতম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পাঁচ প্রতিবন্ধী প্রার্থীকে ৬০ দিনের মধ্যে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।পাঁচ প্রার্থীর করা এক রিটের ওপর দেওয়া রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাই কোর্ট বেঞ্চ থেকে রোববার এ রায় আসে।

আদালতে আবেদনকারী পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এ বি এম সিদ্দিকুর রহমান খান ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। কর্ম কমিশনের (পিএসসি) পক্ষে ছিলেন মো. খালেকুজ্জামান। সোমবার রিটকারীদের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, রোববার আদালত রায় দিয়েছেন। এতে পাঁচ প্রার্থীকে আদালতের রায় পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ৩৪তম বিসিএসে নিয়োগের সুপারিশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।৩৪তম বিসিএসের দুই হাজারের বেশি প্রার্থীকে ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। এতে মাত্র তিনজন প্রতিবন্ধী প্রার্থীকে ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়।তবে ২০১২ সালের ১২ জানুয়ারি জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা গেজেটের ‘ক’ অংশ অনুযায়ী, সরকারি চাকরিতে ১ শতাংশ পদ প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের মধ্য থেকে পূরণের বিধান রয়েছে।নিয়োগের সুপারিশে ওই ১ শতাংশ কোটা পূরণ না হওয়ায় ননক্যাডার তালিকায় থাকা ওই পাঁচ প্রার্থী রিট আবেদনটি করেছিলেন।ওই রিটের ওপর শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ১৬ নভেম্বর একটি রুল জারি করে হাই কোর্ট।রুলে ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ১ শতাংশ কোটার ভিত্তিতে ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য কেন সুপারিশ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রোববার তাদের নিয়োগের সুপারিশ করার নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয় হাই কোর্ট।

একইসঙ্গে জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা গেজেট ‘বিসিএস ক্যাডার সার্ভিস এবং অন্যান্য প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ’ আদেশের ‘খ’ অংশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।ওই গেজেটের ‘ক’ অংশে সরকারি চাকরিতে ১ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হয়। আর ‘খ’ অংশে বিদ্যমান কোটাগুলোর মধ্যে কোনো কোটায় পর্যাপ্ত যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সেই কোটা থেকেও ‘১ শতাংশ’ যোগ্য প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের দ্বারা পূরণের কথা বলা হয়।রিট আবেদনকারী প্রার্থীদের একজন বলেন, ‘ক’ অংশে ১ শতাংশ কোটা প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষণের কথা থাকলেও ফলাফল প্রকাশে পিএসসি সেটি অনুসরণ না করে গেজেটের ‘খ’ অংশটি অনুসরণ করত।এতে বিসিএস উত্তীর্ণ হয়েও নন-ক্যাডার তালিকায় নাম এসেছিল তাদের। এ কারণে প্রতিকার চেয়ে রিট আবেদনটি করেছিলেন তারা।