ঠাকুরগাঁওয়ে আগাম জাতের ধান কর্তন শুরু হয়েছে। আগাম জাতের ধান কর্তন শুরু হওয়ায় জেলার বেশিরভাগ কৃষকের মুখে হাসি ফুটলেও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা লোকসানের আশংকায় রয়েছেন। তবে কৃষি বিভাগ বলছেন, ইতোমধ্যে ধান কর্তন শুরু হওয়ায় লাভবান হবেন জেলার অধিকাংশ কৃষক।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর, পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল, বালিয়াডাঙ্গী ও সদর উপজেলাসহ ৫টি উপজেলায় আগাম জাতের আবাদকৃত এসিআই-১-২, হাইব্রীড ও ব্রি ধানÑ৪৯ ও ৫২ জাতের ধান কর্তন শুরু হয়েছে। এসব আগাম জাতের ধান উৎপাদনে সময় লাগে ৯০-১০০ দিন। চলতি মৌসুমে জেলায় ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয় ১ লাখ ৩৬ হাজার ৮৮৫ হেক্টর জমিতে। আর এ থেকে ধান উৎপাদন হবে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৮৯ হাজার মেঃ টন ধান।
এর মধ্যে আগাম জাতের ধান আবাদ হয়েছে ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে। আর বন্যায় ৭ হাজার ৪৭৯ হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা ইতোমধ্যে পুনরায় রোপন করা হয়েছে। তবে এসব ধান উৎপাদনে কিছুটা ঘাটতি হবে।
সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের ফারাবাড়ি গ্রামের কয়েকজন কৃষক জানান, এবার বন্যায় রোপনকৃত ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যা আবার পুনরায় রোপন করতে হয়েছে। এতে কৃষকরা বেশ ক্ষতির শিকার হয়েছে। আর দেরিতে ধান রোপন করায় তেমন একটা ফলন আসবে না। আর যারা অন্যের জমি নিয়ে বড়গা হিসেবে ধান আবাদ করেছে তারা আরো বেশি লোকসানে পরবে।
এক বিঘা জমিতে আমন ধান আবাদ করতে খরচ হয় ৭-৮ হাজার টাকা পর্যন্ত। আগাম জাতের উৎপাদনের সময় লাগে ৯০-১০০ দিন। এ থেকে ধান উৎপাদন হয় ১৪-১৬ মন পর্যন্ত। আর অন্য জাতের ধান উৎপাদনে সময় লাগে ১২০ দিন পর্যন্ত। ধান উৎপাদন হয় ২০-২৫ মন পর্যন্ত। তবে এবার ধানের দাম পাবে কৃষকরা। বর্তমানে বাজারে প্রতি ২ মন বস্তায় নতুন ধান বিক্রি হচ্ছে ১৪-১৫শ টাকায়। দাম পেলেও এবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুষিয়ে উঠা কঠিন হবে। তা না হলে কৃষকরা বেশ লাভবান হতো।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাউদুদুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে জেলায় আবাদকৃত নতুন জাতের আগাম ধান কর্তন শুরু হয়েছে। আমারা আশা করছি ৩১ অক্টোবরের মধ্যে প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর জমির ধান কর্তন হবে। আমরা আশা করছি উৎপাদনের লক্ষামাত্রা পুরন হবে।
মো: জুনাইদ কবির,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি