বিদেশ থেকে খালেদা জিয়া ফেরার আগেই তাকে শুভেচ্ছা জানাতে জড়ো হওয়া বিএনপি নেতা-কর্মীদের চাপে যানজটের দুর্ভোগ পোহাতে হয় রাজধানীর বিমানবন্দর সড়ক ব্যবহারকারীদের। লন্ডনে চিকিৎসা ও ব্যক্তিগত সফর শেষে বুধবার বিকেলে দেশে ফিরেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বুধবার বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে তাকে বহনকারী অ্যামিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।এ সময় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, মহিলা দল নেত্রী আফরোজা আব্বাসসহ দলটির শীর্ষ নেতারা তাকে স্বাগত জানান। এছাড়া বিমানবন্দরের বাইরে ও আশপাশের সড়কে অবস্থানকারী নেতা-কর্মীরা নানা স্লোগান দিয়ে খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানান। পরে বিমানবন্দর থেকে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গুলশানের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। তবে নেতা-কর্মীদের জমায়েতের কারণে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারীদের বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে বিএনপি নেতাকর্মীদের শোডাউন।সরেজমিনে দেখা যায়, বুধবার দুপুর ২টার পর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিমানবন্দর ও এর আশ-পাশের এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। কেউ অবস্থান নিয়েছেন নিকুঞ্জ এলাকায়, অনেকেই আবার বিমানবন্দরের বাইরের সড়কে ও এর আশপাশে অবস্থান নিয়ে নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তখনই দেশে ফিরছেন, যখন তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলায় আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব পরোয়ানার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে নানা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। প্রায় ৩ মাস যুক্তরাজ্যে অবস্থানের পর দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গত ১৫ জুলাই চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান তিনি।এই উপলক্ষে দলীয় কোনো কর্মসূচি না থাকলেও নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে দুপুরের পর থেকেই বিমানবন্দর সড়কের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।তারা বিমানবন্দর গোলচত্বরে অবস্থান নেওয়ায় বিকাল ৪টা থেকে সড়কে যান চলাচল বিঘিœত হয় ।সড়কে পূর্ব পাশে অবস্থান নেওয়া বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা ফুটপাথে অবস্থান নিলেও বিকাল সাড়ে ৪টার পর তারা মূল রাস্তায় নেমে এসে মিছিল করতে থাকে।বিমানবন্দরের সামনে গোলচত্বর থেকে কাওলা পর্যন্ত রাস্তায় মিছিল করছে তারা। এতে বনানীমুখী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।উত্তরামুখী যানবাহন স্থবির হয়ে ওই সড়কের পশ্চিম পাশও আটকে আছে বলে জানান ফয়সাল। কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত গাড়ির জট লেগেছে।বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালের ফটকের সামনের রাস্তার দুইপাশে বিএনপির নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেয় ।মহাসড়ক থেকে বিমানবন্দরে প্রবেশের রাস্তাও জন-সাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুলিশ খালেদা জিয়ার ফেরা উপলক্ষে বাড়তি নিরাপত্তার কথা আগেই জানিয়েছিল।বিএনপি নেতা-কর্মীরা সড়কে মোটর সাইকেল শোভাযাত্রাও করে।কুড়িল ফ্লাইওভারে যানজট লেগে আছে। মাঝে মাঝে যানবাহন চললেও তার গতি ছিল খুব ধীর।কুড়িল বিশ্বরোডে এলাকায় অবস্থান নেয় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা।পুলিশ পিকআপ ভ্যান নিয়ে মাইকিং করে, যাতে রাস্তায় গাড়ি চলাচল আটকে না যায়।
পুলিশের পক্ষ থেকে যানজট এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করার অনুরোধ করা হয়। নইলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।সম্প্রতি জাতিসংঘ সফর থেকে ফেরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের গণ সংবর্ধনা দেওয়ার দিনও সড়কে যানজটে নাকাল হতে হয়েছিল রাজধানীবাসীকে। লন্ডনে চিকিৎসা ও ব্যক্তিগত সফর শেষে বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে তাকে বহনকারী অ্যামিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এছাড়া বিমানবন্দরের বাইরে ও আশপাশের সড়কে অবস্থানকারী নেতা-কর্মীরা নানা স্লোগান দিয়ে খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানান। পরে বিমানবন্দর থেকে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গুলশানের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। তবে নেতা-কর্মীদের জমায়েতের কারণে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারীদের বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হয়। খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে বিএনপি নেতাকর্মীদের শোডাউন।সরেজমিনে দেখা যায়, বুধবার দুপুর ২টার পর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিমানবন্দর ও এর আশ-পাশের এলাকায় জড়ো হতে শুরু করে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। কেউ অবস্থান নিয়েছেন নিকুঞ্জ এলাকায়, অনেকেই আবার বিমানবন্দরের বাইরের সড়কে ও এর আশপাশে অবস্থান নিয়ে নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। প্রায় ৩ মাস যুক্তরাজ্যে অবস্থানের পর দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গত ১৫ জুলাই চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান তিনি।