বিচারকদের রায়ে জেসিকা জয়ী, ঘোষণায় হিমি, তবে বিজয়ী এভ্রিল

অন্ধকারে রাখা হয়েছিলো “মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’-এর বিচারকদের। এমনটাই মন্তব্য করেছেন নাম প্রকাশ না করা একজন বিচারক। তিনি বলেছেন, জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল নামের যে প্রতিযোগীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে, সে তার পছন্দের বিচার তালিকায় ছিলেন না। প্রতিযোগীদের যে নম্বর দেয়া হয়েছে সে নম্বর পত্রটি আয়োজকেরা দেখেননি। এক কথায় বিচারক হিসেবে অন্ধকারেই ছিলাম আমি। আমার জীবনে এমন অভিজ্ঞতা আর হয়নি। একই অভিজ্ঞতা অন্যদের বেলায়ও। এক কথায় আমরা বিস্মিত হয়েছি। এটি খুবই অন্যায় কাজ হয়েছে। বড় একটি প্ল্যাটফর্মের প্রতিভা বাছাইয়ে এমন অনিয়ম মেনে নেওয়া যায় না। অন্য বিচারকদের ব্যাপারেও তেমনটি ঘটতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বিকেলে এই অনুষ্ঠান ও তার ফলাফল সম্পর্কে জানতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ কথাগুলো বলেন।

প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠানের এই বিচারক আরও জানান, শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠান শেষ করে বিচারকরা রুষ্ঠ মনে বাসায় চলে আসেন। রাতারাতি বিতর্ক শুরু হলে আয়োজক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আজ শনিবার সকাল থেকে যোগাযোগ করা হয় বিচারকদের সঙ্গে। তারা বিষয়টির জন্য দুঃখপ্রকাশ করছেন। পাশাপাশি এও বলছেন যে, দু’দিনের মধ্যে এর একটি সমাধান তারা বের করবেন।

প্রথম ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় অনিয়মের বিষয়টি নিয়ে সমালেচনা চলছে চারদিকে। আয়োজক প্রতিষ্ঠান অন্তর শোবিজ ও অমিকন এন্টারটেইনমেন্টের পক্ষ থেকে ভুল নাম ঘোষণার জন্য এরই মধ্যে বিবৃতি দিয়ে দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে।
রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের নবরাত্রী হলে এই প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালেতে অংশ নেন ১০জন প্রতিযোগী। প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালের বিচারক ছিলেন শম্পা রেজা, বিবি রাসেল, জুয়েল আইচ, চঞ্চল মাহমুদ, রুবাবা দৌলা ও সোনিয়া বশির কবির। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন ভারতীয় শিল্পী শিনা চৌহান। বিভিন্ন সূত্র বলছে, বিচারকদের রায়ে জেসিকা ইসলামকে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচন করা হয়। কিন্তু প্রথমে জান্নাতুল সুমাইয়া হিমির নাম ঘোষণা করা হয় বিজয়ী হিসেবে। এর পরপরই সবাইকে হতবাক করে দিয়ে আসে বিতর্কিত সেই ঘোষণা ও এভ্রিলের নাম।