বিষয়ে প্রস্তাবের ওপর সোমবার গণশুনানি শুনি হওয়ার পর তা মঙ্গললবার সকাল পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।সকাল ১০টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি মিলনায়তনে এ গণশুনানি চলে।বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর ভোক্তা প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিতে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এই গণশুনানির আয়োজন করে।প্রথমে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ২৬ সেপ্টেম্বর পিডিবির খুচরা পর্যায়ের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ২৭ সেপ্টেম্বর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি), ২৮ সেপ্টেম্বর ডিপিডিসি, ২ অক্টোবর ডেসকো, ৩ অক্টোবর ওজোপাডিকো এবং ৪ অক্টোবর নওজোপাডিকোর খুচরা মূল্য পরিবর্তনের প্রস্তাবের বিষয়ে শুনানির আয়োজন করেছে বিইআরসি।এবছর মার্চে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব বিইআরসিতে পাঠায় বিতরণ কোম্পানিগুলো।পাইকারি পর্যায়ে ১৪ দশমিক ৫০ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে পিডিবি।
গ্রাহকপর্যায়ে ডিপিডিসি ছয় দশমিক ২৪, ডেসকো ছয় দশমিক ৩৪, ওজোপাডিকো ১০ দশমিক ৩৬ ও আরইবি ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ দাম বৃদ্ধির আবেদন করেছে।শুনানিতে পিডিবির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ, বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম, সদস্য মিজানুর রহমান ও আজিজ খান উপস্থিত রয়েছে।।এদিকে, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) গণশুনানি চলার সময় বিক্ষোভ দেখিয়েছে বামপন্থিরা।সোমবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে টিসিবি ভবনের নিচে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা সমাবেশ করে।বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি বন্ধ ও প্রশাসিক ব্যয় কমিয়ে বিদ্যুতের দাম দেড় টাকা পযন্ত দাম কমানো সম্ভব।
সম্প্রতি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে ছয়টি বিতরণ কোম্পানির প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করেছে ইআরসি। কোম্পানিগুলো পাইকারিতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ এবং গ্রাহক পর্যায়ে ৬ থেকে সাড়ে ১৪ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে।খালেকুজ্জামান বলেন, বিইআরসি বিদ্যুতের দাম ইউনিটপ্রতি ৫৮ পয়সা বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে শুনানি করছে।বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি ৫৮ পয়সা কেন, এক পয়সা যদি বাড়ানো হয় সেটা আমরা মানব না। আলোচনাটা হওয়ার কথা ছিল বিদ্যুতের মূল পরিস্থিতি, এই পরিস্থিতিতে মূল্য বৃদ্ধির তো প্রশ্নই উঠে না।বিদ্যুৎ ও চালের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ২৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বামসংগঠনগুলোর উদোগে বিক্ষোভ সমাবেশ করার কথা ঘোষণা দেন তিনি।খালেকুজ্জামানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা মানস নন্দী, বাসদ নেতা বজলুর রশিদ ফিরোজ, সিপিবি নেতা সাজ্জাদ জহির চন্দন ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম নেতা হামিদুল হক প্রমুখ বক্তব্য দেন।সমাবেশ শেষ একই দাবিতে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে কারওয়ান বাজার এলাকা ঘুরে শেষ হয়।