গাজীপুরের কালীগঞ্জে কারখানার কর্মী হিন্দু ধর্মের এক নারী কে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা কালে পুরুষাঙ্গ হারিয়েছেন তিন সন্তানের জনক এক যুবদল নেতা। তার নাম অলি উল্লাহ (৪৫)। সে বক্তারপুর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের ময়েজ উদ্দিনের ছেলে এবং ওই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এ ঘটনায় ওই নারী শনিবার কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ঘটনাটি মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার ওসি আলম চাঁদ।

ওই নারী জানান, তার স্বামী স্থানীয়ভাবে মাছ ধরার কাজ করেন। স্বামী-স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে অভাব অনটনের সংসার তাদের। তাই সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে তিনি নিজেও একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। কাজে আসা-যাওয়ার পথে অর্থের লোভ দেখিয়ে অলি উল্লাহ ওই নারীকে কুপ্রস্তাব এবং নানাভাবে হুমকি দিত। গত প্রায় তিন মাস আগে কাজ শেষ করে রাতে বাড়ি ফেরার পথে তাকে টানা-হেঁচড়া করে পাশের জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে সে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারকেও অবগত করেছেন বলে জানান তিনি। কিন্তু এসব বিষয় তিনি অলি উল্লাহর পরিবারকে জানালেও তারা আমলে না নিয়ে উল্টো তাকেই দোষারোপ করতো। গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থ হয়ে বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন ওই নারী। শুক্রবার রাতে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। আর স্বামীও বাড়িতে ছিলেন না। দিবাগত রাত আনুমানিক দু’টার দিকে অলি উল্লাহ তার ঘরের দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলতে বলে। এসময় তিনি কৌশলে ব্লেড দিয়ে অলি উল্লাহর পুরুষাঙ্গ কেটে দেন। পরে অলির চিৎকারে তার চাচা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম জানান, অলি উল্লাহ কোনো কাজ-কর্ম করতো না। শুধু ঘুরে বেড়াত আর জুয়া খেলত। এর আগে আসা-যাওয়ার পথে ওই নারীর সঙ্গে রাস্তায় অশালীন আচরণ করতো। বিষয়গুলো তিনি আমাদেরকে এবং তার পরিবারকে অবগত করেছে। কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় হয়তো ওই নারী নিজেই এই ব্যবস্থা নিয়েছেন।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলম চাঁদ জানান, এ ব্যাপারে থানায় এসে ওই নারী মৌখিকভাবে জানিয়ে গেছে। তবে লিখিত কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে।