আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের পূজামন্ডপগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন, এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তুত।শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের বর্ধিত সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আছাদুজ্জামান মিয়া ।ডিএমপি কমিশনার বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে ম-পসহ সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।
সভায় তিনি পূজা উদযাপন পরিষদকে বড় মন্ডপগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, আলোকসজ্জা, স্বেচ্ছাসেবী রাখার কথাও বলেন।বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত সেন প্রথম আলোকে বলেন, আজকের বর্ধিত সভায় বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হকের আসার কথা ছিল। তিনি সারদায় রয়েছেন। তাই ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান এসেছেন।জয়ন্ত সেন আরও বলেন, ‘উনি এসে বলেছেন, আপনারা উৎসব করেন। নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি রাষ্ট্রের। আমরা আপনাদের সার্বিক নিরাপত্তা দেব।ঢাকায় ৩৩১টি পূজামন্ডপ রয়েছে জানিয়ে জয়ন্ত সেন আরও বলেন, সারা দেশে প্রায় ৩০ হাজার মন্ডপ রয়েছে। তবে বিকেলের পরে সবগুলো মন্ডপের হিসাব জানা যাবে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক উসকানি ছড়ানোর বিষয়ে পুলিশ জিরো টলারেন্স অবস্থান নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। এ ধরনের কিছু চোখে পড়লে পুলিশকে অবহিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচুর সাম্প্রদায়িক এক্টিভিস্ট সক্রিয় রয়েছে। আপনারা উসকানিমূলক কিছু দেখলে মাথা গরম না করে আমাদের অবহিত করুন। এ বিষয়ে আমাদের জিরো টলারেন্স রয়েছে। যে কোনও সমস্যার সমাধানে আমরা আন্তরিক।
পূজার নিরাপত্তা নিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আপনাদের দায়িত্ব উৎসব উদযাপন করা, ধর্মীয় আচার-আচরণ পালন করা। নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা করার দায়িত্ব আপনাদের না, নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের। পূজায় নিরাপত্তা বিধানে বাংলাদেশ পুলিশ সর্বশক্তি দিয়ে আপনাদের পাশে থাকবে।দুর্গাপূজাকে দেশব্যপী উৎসবমুখর ও নিরাপদ করার স্বার্থে পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেখানে প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে সেসব স্থানেও আমরা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। মহালয়া থেকে শুরু করে দশমী পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। আনসার, পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে নিরাপত্তার জাল গঠনের মাধ্যমে নিরাপত্তা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পূজা উদযাপন পরিষদও নানা পদক্ষেপ নিয়েছে, যা সুশৃঙ্খলভাকে উৎসব উদযাপনে সহায়ক হবে।কমিশনার আরও বলেন, প্রত্যেকটি নাগরিকের নিরাপত্তা বিধানে আমরা সচেষ্ট। কেউ নিরাপত্তা বিঘিœত করার চেষ্টা করলে কঠোর হাতে দমন করা হবে। কাউকে এক বিন্দু ছাড় দেওয়া হবে না।বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত সেন দীপুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণপদ রায়, পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (গোপনীয়) মনিরুজ্জামান, সোয়াটের ডিসি প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, লালবাগ বিভাগের ডিসি ইব্রাহিম খানসহ অন্যারা।