ঝিনাইদহে সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপুজাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। এবারের পূজাকে আরো রঙিন করে তুলতে অপরূপ সুন্দর সব প্রতিমা তৈরি করছেন তারা। তবে কাচাঁমালের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিমা তৈরি করে খুব একটা লাভবান হতে পারছেন না কারিগররা। এদিকে নির্বিঘেœ পূজা সম্পন্ন করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি জোরদার করা হয়েছে বলে জানালেন পুলিশ সুপার। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে পরম যতেœ মূর্তিগুলোকে অবয়ব দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। বাঁশ ও খড় দিয়ে প্রতিমার অবকাঠামো তৈরির পর এখন চলছে রংতুলির কাজ। কিন্তু কঠোর পরিশ্রম করেও সঠিক পারিশ্রমিক না পাওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করেন তারা। তাই ইতোমধ্যেই অনেকেই বাপ-দাদার এ পেশা বদলে অন্য পেশায় চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। সুজন কুমার পাল নামে এক প্রতিমা শিল্পী জানান, তিনি এবার ৭ টি প্রতিমা তৈরীর কাজ হাতে নিয়েছেন। প্রতিটি প্রতিমা তৈরীতে পারিশ্রমিক নিচ্ছেন ৪০ হাজার টাকা। ৫ জন শ্রমিকের ১৫ দিন সময় লাগছে একটি প্রতিমা তৈরী করতে। এখন দিন রাত ব্যস্ততা তাদের। তপন পাল নামে এক কারিগর বলেন, প্রতিদিন যে হারে পারিশ্রমিক দেওয়া হয় তা উপযুক্ত নয়।
ঝিনাইদহ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস বলেন, ঝিনাইদহে এবার ৫০১ টি পূজামন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। যা গতবারের চেয়ে ১২টি বেশি।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, আসন্ন দুর্গাৎসব উপলক্ষে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিমা তৈরীর সময় পুলিশের টহল চলছে। পুজা শুরু হলে ৩ হাজার পুলিশ ও আনসার সদস্য মন্ডপে মন্ডপে দ্বায়িত্ব পালন করবে। এর পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকও কাজ করবে। এক কথায় পূজা নির্বিঘœ করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সকলপ্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।