জেলায় তিন লঞ্চ ডুবির ৫৫ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও নিখোঁজ ১৫ জনের কারও সন্ধান মেলেনি। প্রবল স্রোতের কারণে উদ্ধার কাজের দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি হয়নি। সোমবার বিকেল থেকেই পদ্মা পাড়ে এসে নিখোঁজদের লাশ পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন স্বজনরা। শোকার্ত স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে পদ্মা পাড়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন মৃতদেহ উদ্ধার করতে পারেনি উদ্ধারকারীরা।

উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় সোমবার দুপুর থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করলেও বুধবার বেলা সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত দৃশ্যমান তেমন কোনও অগ্রগতি হয়নি। তবে ওয়াপদা ঘাট থেকে প্রায় ৫ কি.মিটার দূরত্বে কাচিকাটা ইউনিয়নের চরমোহন এলাকায় এমভি মৌচাক-২ লঞ্চটির সন্ধান পেলেও তীব্র স্রোতের কারণে লঞ্চটিকে এখনো উঠানো যায়নি। ফলে নিখোঁজদের মরদেহ না পেয়ে পদ্মা পাড়ে ভিড় জমানো স্বজনরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ফরিদপুরের সহকারী পরিচালক এ,বি,এম মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। পদ্মার প্রবল স্রোত ও বেশী গভীরতার কারণে ডুবুরী দল পানির নিচে গিয়ে অবস্থান করতে পারছে না। বিশেষ করে প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৫ নটিকেল মাইল গতির স্রোতের কারণেই উদ্ধার কাজে সাফল্য পাওয়া কঠিন হয়ে ওঠছে। স্বাভাবিক ভাবে স্রোতের গতি ১.৫ নটিকেল মাইল থাকার কথা। উদ্ধার কাজকে আরও গতিশীল করতে বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, নৌ-বাহিনী এবং নৌ-পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা আরও প্রযুক্তি সংযুক্ত করছি। যাতে দ্রুত উদ্ধার কাজ সমাপ্ত করা যায়।