বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার হতে না পারে সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন,সে কারণে রোহিঙ্গাদের বায়োম্যাট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করা হচ্ছে। বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের সভা কক্ষে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ,স্থগিত এবং উপনির্বাচন উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার হতে না পারে, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক আছে।
২৪ সেপ্টেম্বর জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ, স্থগিত ও উপনির্বাচন উপলক্ষে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।সিইসি বলেন, রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া ঠেকাতে শরণার্থী হিসেবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কার্যক্রমের সঙ্গে ইসির সম্পৃক্ততার বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের কথা বলছেন। সংলাপ শেষ হলে বোঝা যাবে কী পর্যায়ে সেনা মোতায়েন করা যায়।

এর আগে ইসি সচিবালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন, পুলিশ সুপার মো. মাহবুব আলম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তাজুল ইসলামসহ ১৬টি জেলা থেকে আগত নির্বাচনী কর্মকর্তারা অংশ নেন।আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে সিইসি বলেন,বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে দেখা করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা বলেছে। দেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনসহ কোথাও বিএনপি বলেনি যে তারা আগামী নির্বাচনে অংশ নিবে না।প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন,বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী মোতায়েনের কথা বলেছে। সংলাপ শেষে বুঝা যাবে কি করা যায়।নির্বাচনে যারা মাঠ পর্যায়ের দায়িত্বে থাকেন তাদের কথা শোনা খুব জরুরি। নির্বাচনের বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে তাদের কিছু জানানো এবং তাদের কথা শোনার জন্য এ ধরনের মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে বলে সিইসি জানান।এছাড়াও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তাজুল ইসলামসহ ১৬টি জেলা থেকে আসা বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।