হারিকেন ইরমার তান্ডবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা এখনও বিপর্যস্ত। প্রবল ঝড় ও বৃষ্টির কারণে ৩০ লাখের বেশি বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। এ পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মায়ামির একটা বড় অংশ এখনো পানির নীচে। গতকাল ইরমা ক্যাটাগরি ৪ থেকে ক্যাটাগরি ১ ঝড়ে পরিণত হলেও আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। এদিকে, সোমবার কিউবার দিকে এগোতেই এই ঝড়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজধানী হাভানায় অধিকাংশেরই মৃত্যু হয়েছে বাড়ি চাপা পড়ে।
সোমবার সকালে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।

ফ্লোরিডার গভর্নর রিক স্কট জানিয়েছেন, যতক্ষণ না স্থানীয়রা বাড়ি ফিরতে পারছেন, ততক্ষণ ক্ষতির মাত্রা আন্দাজ করা সম্ভব নয়। গতকাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘এই ঝড় যেন এক বিরাট দৈত্যের মতো। এই পরিস্থিতিতে আমরা মানুষের জীবন নিয়ে ভাবছি। কী পরিমাণ অর্থের ক্ষয়ক্ষতি হল তা নিয়ে ভাবছি না।’ আবহাওয়া অফিসের মতে, এই ঝড় ফ্লোরিডার পশ্চিম উপকূল ধরে এগোনোয় ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা হলেও কম হয়।

হোয়াইট হাউসের সোশ্যাল মিডিয়া প্রধান ড্যান স্কাভিনো আজ জলমগ্ন মায়ামি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভুল ভিডিও টুইট করে বিপাকে পড়েছেন। বিমানবন্দরের পক্ষ থেকে ভুল ধরিয়ে দেয়ার পর টুইটটি মুছে দেন ড্যান। সোমবার পর্যন্ত এই বিমানবন্দর থেকে যাত্রী বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। মার্কিন ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস জানিয়েছে, সোমবার সকালে ইরমা ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে অরল্যান্ডোর উপর দিয়ে বয়ে যায়। পর্যটকদের প্রিয় এই শহর এখন প্রায় পুরোটাই পানির নীচে। একই অবস্থা ট্যাম্পা শহরের। ছিঁড়ে পড়েছে বিদ্যুতের লাইন। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, ঘরবাড়ি ছেড়ে যাওয়া বাসিন্দারা বাড়ি ফিরতে পারছেন না। বিপর্যয়ের সুযোগে অবাধে লুঠপাট চলছে বলেও জানা গেছে।